দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক সময় আমাদের নিকট ভবিষ্যৎকে নির্ধারণ করতে পারি বৈজ্ঞানিক যুক্তির মাধ্যমে কিংবা আনুমানিক একটি ধারণা পেতে পারি কেমন বা কি হতে পারে । এমনই এক কাজ করেছেন শিল্পী এবং গবেষক নিকোলাই লাম ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটেশনাল জিনোমিকস বিশারদ অ্যালান কোয়ান। আজ থেকে এক লক্ষ বছর পর মানুষের চেহারা কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে একটি ধারণা প্রদান করেছেন।
মানুষের চেহারা পরিবর্তিত হয়ে আসছে সেই আদিম কাল থেকেই। নিয়ান্ডারথাল মানুষের চেহারার সাথে আধুনিক মানুষের চেহারায় অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই এটাও ধরে নেওয়া যায় আজকের মানুষের সাথে এক লক্ষ বছর পরের মানুষের চেহারাতেও থাকবে লক্ষণীয় পার্থক্য। বর্তমান জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং উন্নতিও মানুষের বাহ্যিক গঠনে পরিবর্তন আনতে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া প্রাকৃতিক বিবর্তনের কারণে মানুষের চেহারায় যে পরিবর্তন আসতে পারে তার উপর ভিত্তি করে লাম এবং ডক্টর কোয়ান তৈরি করেছেন এমন কিছু ছবি যাতে মানুষের চেহারা ২০ হাজার বছর, ৬০ হাজার বছর এবং এক লক্ষ বছর পর কেমন হবে তার নমুনা তুলে ধরা হয়েছে। এর সাথে সাথে কেন এই পরিবর্তনগুলো ঘটবে তাও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে লাম এবং ডক্টর কোয়ানের মতে, নিশ্চিত করে বলা যাবে না মানুষের মাঝে এমন সময়ে ঠিক এই পরিবর্তনগুলোই ঘটবে। বরং বর্তমানে আমাদের কাছে যে তথ্য আছে তাকেই কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের সম্পর্কে একটা ধারণা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
১) বর্তমান:
প্রথম ছবিটি হলো বর্তমান সময়ের একজন পুরুষ ও একজন নারীর অপরিবর্তিত ছবি।
২) ২০ হাজার বছর পর:
সূক্ষ্ম কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষের অবয়বে। আগের চাইতে মস্তিষ্ককের আকার একটু বড় হয়ে গেছে। আর তাদের চোখের ওই হলদে লেন্সের প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই লেন্সটি কাজ করবে অনেকটা গুগল গ্লাসের মতো, কিন্তু তা হবে আরও বেশি কর্মক্ষম, আরও বেশি শক্তিশালী।
৩) ৬০ হাজার বছর পর:
এতে বেশ কিছু পরিবর্তন চোখে পড়ে। মাথা বড় হয়েছে আরও, পাশাপাশি চোখগুলোও বড় হয়ে গেছে। এ সময়ে মানুষ পৃথিবী ছাড়া অন্যান্য গ্রহের বসতি তৈরি করবে। সূর্য থেকে দূরে হবার কারণে সেখানে আলো থাকবে কম। কম আলোর সাথে মানিয়ে নেবার জন্য মানুষের চোখও হবে বড়। সেখানে পৃথিবীর মতো ওজোন স্তর থাকবে না, তাই ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি এড়াতে চোখের পাতা হবে আরও ভারি, ত্বক হয়ে উঠবে গাড় রঙের।
৪) এক লক্ষ বছর পর:
এক লক্ষ বছর পর পরিবর্তনটা বেশ চোখে লাগে। বিশেষ করে জাপানিজ কার্টুনের মতো বিশাল আকৃতির চোখ। কম আলোতে দেখার সুবিধা হবে এই চোখে। আর চোখের পাতা এখন আমরা যেমন ওপর থেকে ফেলি, তখন ফেলা হবে পাশ থেকে।মাথার আকৃতি হবে আরও বড়। চুল হয়ে উঠবে আরও ঘন। পৃথিবীর বাইরে প্রতিকূল পরিবেশে নিঃশ্বাস নিতে সুবিধা করে দেবার জন্য নাকের ছিদ্র আরও বড় হবে।
তথ্যসূত্রঃ ফোর্বস