দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৮২ বছর বয়সের দৈত্যকার কচ্ছপ হলো জোনাথন। ১৮৮২ সালে জোনাথনকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট হেলেনা দ্বীপের একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি গ্যালাপোগাস দ্বীপ থেকে নিয়ে আসেন। ১৮২ বছর বয়সেও জোনাথন এখনো রয়েছে অনেক সুস্থ। আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো তার জীবনের বিশেষ বিশেষ কিছু মুহুর্ত। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সের কচ্ছপ জোনাথনের জীবনকাহিনী।
জোনাথনকে বর্তমানে বিবেচনা করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সের বেঁচে থাকা প্রাণী হিসেবে। ১৮৮২ সালে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নিয়ে আসা এই প্রাণীটির প্রথম ১৯০২ সালে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। ততদিনে জোনাথন বেশ বয়স্ক হয়ে গিয়েছে।
প্রানীবিদরা বলেন, জোনাথন মূলত যে শ্রেণীর কচ্ছপ সেই শ্রেনীর কচ্ছপগুলো আকারে বেশ বড়সড় হয়ে থাকে। এবং এদের আয়ু হয়ে থাকে অনেক বেশি। সে হিসেবে জোনাথন বর্তমানে তাদের বয়সের শেষ সময়ে অবস্থান করছে।
এই ধরনের গ্যালাপোগাস দ্বীপের অধিবাসী কচ্ছপ গুলো সাধারণত ২৫০ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকে। প্রাণীবিশেষজ্ঞদের মতে জোনাথন জন্ম হতে পারে ১৮৩২ সালে। কেননা ১৯০২ সালে জোনাথনের ছবি অনুসারে যে বয়স দেখা যাচ্ছে তাতে এই বয়সে পৌছতে হলে তার জন্ম হবে আনুমানিক ১৮৩২ সাল।
জোনাথনকে বর্তমানে বেঁচে থাকা প্রানীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সের প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই পৃথিবীর অনেক পরিবর্তনের সাক্ষী হলো এই জোনাথন। সেন্ট হেলেনার যে পরিবারটি জোনাথনকে পালার জন্য নিয়ে এসেছিলেন সেই পরিবারের এখন চতুর্থ প্রজন্ম চলছে।
এই পরিবারের অনেকের সাথে সাথে জোনাথন বড় হয়েছে তারপর হয়েছে বুড়ো এখন রয়েছেন শেষ সময়ের অপেক্ষায়। জোনাথনের সাথে থাকা অনেকেই আজ বিদায় নিয়েছেন এই পৃথিবী থেকে কিন্তু জোনাথন আজো আছেন বহাল তবিয়তে।
সুন্দর ঘাসের মাঠের এই জমিটুকুর সাথে জোনাথন মিশে আছেন ১৮২ বছর ধরে।
তথ্যসূত্রঃ বোরপান্ডা