দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এয়ারলাইন্স কিংবা এয়ারপ্লেনের বহির্গত কিছু বিষয় রয়েছে জাকে একত্রে liveries বলে। এই liveries এর মধ্যে রয়েছে এক্সটেরিয়র ডিজাইন, এয়ারলাইন্সের রঙ এবং লোগো। এয়ারলাইন্সের এই এক্সটেরিয়র রঙ কিংবা লোগো কোম্পানির স্বাক্ষর বহন করে না, তা একটি দেশের ভিজুয়্যাল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে প্রতিফলিত হয়ে থাকে। তো আজকে আমরা এমন কয়েকটি চমৎকার এক্সটেরিয়র ডিজাইন করা এয়ারলাইন্সের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
১. এয়ার মাল্টা
ভূমধ্যসাগরীয় ছোট একটি দ্বীপ দেশ হলো মাল্টা। আর এই দেশের ন্যাশনাল এয়ারলাইন কোম্পানী হলো এয়ার মাল্টা। এর লেজের মধ্যে থাকা চার পাপড়ির প্রতীকটি হলো তাদের জাতীয় প্রতীক। এটি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।
২. এয়ার সিসিলি
আফ্রিকার উপকূলের ছোট একটি দেশ হলো সিসিলি। আর এয়ার সিসিলি তাদের ন্যাশনাল এয়ারলাইন্স। এর লেজের রঙের অংশটি উপকূলের সৌন্দর্যের প্রতিনিধিত্ব করছে।
৩. সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স
সুইস বিমানের এই সাদা রঙটিকে বলা হয়, ইউরোপের কালার এর নাম ইউরোহোয়াইট আর লালের মধ্যে ক্রসের প্রতীকটি দেশ হিসেবে তাদের নিরপেক্ষতা প্রকাশ করছে।
৪. ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ
বিমানের লেজের অংশের লাল নীলের এই সমন্বয় জাতি হিসেবে ব্রিটিশদের ঐতিহাসিক মর্যাদার প্রতিনিধিত্ব করছে।
৫. এরিক এয়ার
এরিক এয়ার হলো নাইজেরিয়ার জাতীয় বিমান। এর সাদার সাথে মেরুন লাল আর নীলের সমন্বয় কয়েকশ বছরের উপানিবেশিক শাসনের অবসানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতিনিধিত্ব করে।
৬. আসিয়ানা
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমান সংস্থা। শ্বেত শুভ্র রঙের মাঝে হালকা রঙ্গিন অবয়ব কোরিয়ার উপকূলীয় পরিবেশের প্রতিনিধিত্ব করছে।
৭. ভার্জিন আটলান্টিক
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিন গ্রুপের এয়ারলাইন্স। এর লেজে থাকা স্বাক্ষরটি রিচার্ড ব্র্যান্সনের ভার্জিন কর্পোরেট গ্রুপের প্রতীক।
৮. কুলুলা
সাউথ আফ্রিকান বিমান সংস্থার একটি বিমান। যা শিক্ষানবীশ বৈমানিকদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর নাম ফ্লাইং ১০১।
৯. হাইনান এয়ারলাইন্স
চীনের হাইনান প্রদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা এবং চায়নার সবচেয়ে বড় প্রাইভেট এয়ারলাইন্স। এর লেজের লাল রঙ চীনের প্রতিনিধিত্ব করছে। এখানে লাল রঙ দ্বারা হাসিখুশি এবং সৌভাগ্যর কথা বলা হয়েছে।
১০. এয়ার নিউজিল্যান্ড
হবিট মুভির জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়েছে এই বিমান সংস্থাটি তাদের সকল বিমানের এক্সটেরিয়রে হবিটের বিভিন্ন দৃশ্যবলী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, হবিট মুভিটির শুটিং হয়েছে নিউজিল্যান্ডে।
তথ্যসূত্রঃ বিজনেসইন্সাইডার