দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে মাঝে-মধ্যেই ঘটে থাকে কিছু উদ্ভট ঘটনা। এমনই একটি উদ্ভট ঘটনাপ ঘটেছে। ২২ সপ্তাহের ভ্রূণ পাওয়া গেছে ৭ মাসের এক শিশুর পেটে!
মাত্র ৭ মাস বয়সের এক শিশুর পেটে পাওয়া গেলো ২২ সপ্তাহের ভ্রূণ! ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাজিয়া জান্নাত নামে ৭ মাসের এক শিশুর পেটে ২২ সপ্তাহ বয়সী একটি ভ্রূণের অস্তিত্ব পেয়েছেন মেডিকেলের চিকিৎসকরা।
সাজিয়া জান্নাত নামে ওই শিশুটি জামালপুর সদর উপজেলার দখলপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও আঞ্জুমান খাতুনের মেয়ে। ১৩ মার্চ হতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে (২০৩) চিকিৎসাধীন রয়েছে সাজিয়া নামের ওই শিশু।
ঢামেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আশরাফ উল হক কাজল জানান, পরীক্ষা করে শিশু সাজিয়ার পেটের মধ্যে একটি মানব ভ্রূণের মেরুদণ্ড, হাত, পা এবং মাথার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এই ভ্রূণটির বয়স ২২ সপ্তাহ। তাকে অপারেশন করার প্রস্তুতি চলছে। আশা করি শিশুটিকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হবে।’
সাজিয়ার বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জামালপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সাজিয়ার জন্ম হয়। তার বয়স ৪ মাস হওয়ার পর পেট অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে শুরু করে। পরে তাকে গাজীপুরের আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেটে টিউমারের কথা জানায়। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভাল কোনো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে নিয়ে আসেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার পেটে অন্য একটি শিশুর ভ্রূণের অস্তিত্বের কথা জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। সেখান থেকেই গত ১৩ মার্চ ঢামেক হাসপাতালে শিশু সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় সাজিয়াকে।
চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, গর্ভধারণের সময় হয়তো শিশুটির মায়ের পেটে জমজ শিশু জন্ম নেয়। তখন তাদের মধ্য হতে একটি ভ্রূণ বেড়ে ওঠে, কোনো কারণে অপরটি আর বেড়ে ওঠেনি। এক পর্যায়ে বেড়ে ওঠা ভ্রূণটিই গর্ভে থাকা অবস্থায় অপর ভ্রূণটিকে আবৃত করে ফেলে। ফলে সাজিয়ার পেটে ওই ভ্রূণটি চলে যায় ও পরবর্তীতে তার পেটেই ওই ভ্রূণটি বেড়ে উঠতে শুরু করে। এর বাইরে আপাতত কোনো কারণ খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা।