দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই যদি এমন একটি ঘটনা আমাদের দেশে ঘটতো? তাহলে কেমন হতো? তবে দু:খের বিষয় হলো ঘটনাটি কম্বোডিয়ার। হেলমেট ছাড়া স্কুটি চালিয়ে জরিমানা গুণতে হয়েছে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর!
নিয়ম ভাঙার কারণে জরিমানা দিতেই হলো স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে। দিব্যি খোলা হাওয়ায় আরাম করে স্কুটি চালাচ্ছিলেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। হাঁ করে সবাই তাকিয়ে দেখছিল সে দৃশ্য। আর সেই ছবি প্রকাশিত হতেই শুরু হলো বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রী বলে কী সাতখুন মাফ? আইন কী সবার জন্য সমান নয়? শেষ পর্যন্ত পুলিশি তলব! অগত্যা থানায় হাজিরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তখনই সোজা চালান বই বের করে খসখস করে জরিমানার রসিদ কেটে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হলো! আইন মেনে ১৫ হাজার রিয়াল (২৫৫ টাকা) বেরিয়ে গেলো প্রধানমন্ত্রীর পকেট থেকে! জরিমানা দিয়ে এ যাত্রা মুক্তি পেলেন খোদ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ১৮ জুন কোনহ কোং গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। গ্রাম্য রাস্তায় হেলমেট ছাড়াই স্কুটি চালান তিনি৷ সেই ছবি দেশের সব সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিতও হয়। এই নিয়ে বিতর্ক উসকে ওঠে। যদিও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, বাইক চালানোর কোনও ইচ্ছেই ছিল না। গ্রাম পরিদর্শনের সময় সরকারি গাড়ি থেকে নেমে স্থানীয় এক মোটর মেকানিকের কাছে গিয়েছিলাম। তার বাইকটি নিয়ে কিছুটা পথ ঘুরেছি মাত্র। সঙ্গে ছিল ওই মেকানিকও।
তবে জরিমানা দেওয়ার পর কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেছেন, ‘আইন মানতে সবাই বাধ্য। আমার ঘটনা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
উল্লেখ্য, বিগত তিন দশক ক্ষমতায় রয়েছে কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টি। এই দলটির প্রধান নেতা হলেন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন। ১৯৭৯ সাল হতে দলটি দেশ শাসন করে আসছে। যে কারণে বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী শাসক দলের মর্যাদাও পেয়েছেন। তীব্র রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এক সময় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার তৎকালীন কাম্পুচিয়া (বর্তমান কম্বোডিয়া) মার্কসবাদ-লেনিনবাদের মতাদর্শ তুলে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।