দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কী কখনও এমন ভয়ংকর বিয়ের প্রস্তাব দেখেছেন? প্রশ্ন আসবে কেমন ভয়ংকর? ঠিক তাই। আমরা আজ এমন এক ব্যতিক্রমি বিয়ের প্রস্তাবের কথা জানবো।
ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে ঠিক এভাবেই এসেছে। ঘটনাটি এমন, নির্জন রাস্তার ওপর গাড়ি হতে নেমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ৩ পুলিশ সদস্য। হঠাৎ তাদের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি প্রাইভেটকারকে গতিরোধ করলেন। এরপর তাড়াহুড়া করে গাড়িতে চালকের পাশের সিটে বসা তার প্রেমিকাকে একেবারে পুলিশী কায়দায় টেনে-হিঁচড়ে বের করলেন!
শুধু বের করলেন তা না, পিচঢালা রাস্তার উপর ফেলে গলা টিপে ধরলেন। অত:পর গলা ধরে টানতে টানতে পুলিশের গাড়িটির একেবারে পেছনে নিয়ে ফেললেন। আর সেখানেই হাঁটু গেঁড়ে বসে হীরার আংটি নিয়ে অপেক্ষা করছে এক যুবক, সেই যুবক আর কেও নন ওই নারীর প্রেমিক ভ্লাড লুনগু!
বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য তার প্রেমিক ভ্লাডই এমন একটি উদ্ভট পরিকল্পনা করেছেন বুঝতে পারার পরও আলেকজান্দ্রা নামের ওই নারীর কয়েক মুহূর্ত সময় লেগেছিল সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে। তবে এটি বোঝার পরেও তার চোখে জল গড়িয়ে পড়ছিল।
কয়েক সেকেন্ড হাসিতে ফেটে পড়ার পর ভ্লাড প্রশ্ন করেন, তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে? আলেকজান্দ্রা মাথা নাড়ান এবং শান্তভাবে ‘হ্যাঁ’ সূচক উত্তর দেন। সত্যিই এটিই মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিয়ের প্রস্তাব!
মধ্য রোমানিয়ার ব্রাসভে ঘটে যাওয়া এই অদ্ভুত বিয়ের প্রস্তাবকে ব্রিটেনের ডেইলি মেইল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিয়ের প্রস্তাব হিসেবে শিরোনাম করে!