দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাজন জঙ্গলে এমন সুন্দর একটি হোটেল হতে পারে তা বোধহয় কেও চিন্তাও করেনি। কিন্তু এবার সত্যিই এমন একটি খবর সকলকে চমকে দিয়েছে।
জ্যাক কস্তু নামে এক ব্যাক্তি ছিলেন একজন জাত পর্যটক। ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। একবার তিনি ঘুরতে এলেন আমাজনে। তখনই তার মাথায় এলো একেবারে ভিন্ন ধরনের একটা হোটেল বানানোর ভাবনা। তিনি পরিকল্পনা করলেন হোটেলটির অবস্থান হবে একদম আমাজন জঙ্গলের ভেতরে।
ওই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা থাকবে মাটি থেকে অনেক ওপরে অর্থাৎ গাছের গায়ে। পুরো হোটেলের মধ্যে আমাজনের স্থানীয় জীবনযাত্রার একটা ছাপও প্রতীয়মান হবে। তবে আরাম-আয়েশেরও কোনো অভাব থাকবে না হোটেলে।
তার এমন একটি ভাবনার কথা বললেন স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ীকে। ভাবনাটা তারও বেশ পছন্দ হয়ে গেলো। খরচ জোগাতেও রাজি হয়ে গেলেন তিনি। তারপর দ্রুতই বাস্তবায়িত হলো জ্যাক কস্তুর স্বপ্নের সেই পরিকল্পনাটি। সেই ১৯৮৫ সালের কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো সেই বিশেষ হোটেলটি।
আমাজন জঙ্গলের ভেতরে অবস্থিত এই হোটেলটির নাম দেওয়া হলো ‘আরিয়াউ আমাজন জাঙ্গল টাওয়ার্স’। আমাজন জঙ্গলের বুক চিরে বয়ে গেছে আমাজন নদী। এই নদীর অন্যতম শাখা নদী হলো এই রিও নিগ্রো। এই রিও নিগ্রো যেখানে আরিয়াউ খাঁড়িতে এসে ঢুকেছে, তার ঠিক কাছেই অবস্থিত আরিয়াউ টাওয়ার্স।
এর সবচেয়ে কাছের শহর মানাউস হতে যাওয়া-আসার মাধ্যম হলো নৌকা। সে পথে অবশ্য দিনে দু’বার করে নৌকা আসা-যাওয়া করে থাকে। অবশ্য সরাসরি হেলিকপ্টারে চড়ে আসা-যাওয়ার বন্দোবস্তও রয়েছে। এভাবেই পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে এই হোটেলটি।