দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম দুটি সম্মানজনক পদক যিনি অর্জন ইতিমধ্যে করেছেন, সেই বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং মনে করছেন, সে দেশে এবার গেলে হয়তো তিনি আর যথাযথ সম্মান পাবেন না।
ধারণা করা হচ্ছে, কট্টর অভিবাসীবিরোধী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণেই তাঁর মধ্যে এমন ভীতির সঞ্চার হয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডবিদের।
গুড মর্নিং ব্রিটেনকে সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হকিং তাঁর আতঙ্কের এই কথাটি প্রকাশ করেন। তাঁর অভিমত হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র একদম ডানপন্থী ও স্বৈরাচারের দিকেই এগোচ্ছে। সেখানেই তাঁর ভয়। তিনি বলেন, ‘আমি আবার যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাই এবং অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথাও বলতে চাই। কিন্তু আমার ভয় হলো, আমাকে হয়তো আর আগের মতো স্বাগত জানানো হবে না।’ অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নিকট হতে হকিং গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেনশিয়াল স্বাধীনতা পদক। যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক ফ্রাংকলিন পদকও পেয়েছেন এই পদার্থবিদ।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫ বছর বয়সী গবেষক হকিং উদ্বিগ্ন হয়েছেন ট্রাম্পের পরিবেশবিষয়ক মনোভাবেও। পরিবেশ নিয়ে পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা ও কর্মকাণ্ডকে ধাপ্পাবাজি মনে করেন ট্রাম্প! সেদিকে ইঙ্গিত করে স্টিফেন হকিং বলেন, ‘আমাদের সামনে আসা সবচেয়ে ভয়াবহ বিপদগুলোর মধ্যে একটি হলো জলবায়ু পরিবর্তন। তবে এটা আমাদের পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমেরিকার ওপর সর্বাধিক। সুতরাং সমস্যাটা সামাল দিতে পারলে তিনি হয়তো দ্বিতীয় মেয়াদেও জিতে যাবেন।’ পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা প্রধানের পদ হতে পরিবেশবাদবিরোধী স্কট প্রুইটকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গার্ডিয়ান লিখেছে, ট্রাম্প সম্পর্কে স্টিফেন হকিং আরও বলেছেন, ‘বিশ্বায়নের প্রতি বিতৃষ্ণ যেসব মানুষ অভিজাত শাসকদের কারণে নিজেদেরকে অধিকারবঞ্চিত মনে করেছে, ট্রাম্প তাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন। যারা উদারপন্থী নয় বা তথ্যসমৃদ্ধও নয়, সেই সব নির্বাচককে সন্তুষ্ট করাটাকেই ট্রাম্প অগ্রাধিকার দেবেন- অন্তত তার কর্মকাণ্ডে সেটিই মনে হচ্ছে।’