দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুগে যুগে আর কতো কিছুই না দেখতে হবে আমাদের! পৃথিবীতে নানা প্রজাতির মাছ রয়েছে কিন্তু হাঁটতে জানে এমন মাছের কথা আগে আমরা কখনও শুনিনি। তবে এবার সত্যিই তাই ঘটেছে।
রহস্যময় এমন এক মাছের সন্ধান মিলেছে যে মাছ দিব্যি হেঁটে বেড়াতে পারে। সত্যিই এক বিচিত্র এই পৃথিবী! এই পৃথিবীর বুকে লুকিয়ে রয়েছে কতো না জানা রহস্য! এমন আজব আজব ঘটনার জন্য বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা দিতে হিমশিম খেতে হয়।
পৃথিবীতে নানা জাতের মাছ পাওয়া যায়। সমুদ্রের পানির নিচে বালুতে কোনো মাছকে হাঁটতে দেখাটা সত্যিই বিস্ময়কর। দেখলে বোধহয় চোখ কপালে ওঠে যাওয়ার মতোই ব্যাপার হতো সকলের কাছে। যেমনটি এবার হয়েছে।
এমন একটি ঘটনা ঘটেছে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে। আর এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন এক ফরাসী স্কুবা ডাইভার। এমন কাণ্ড দেখতে পেয়ে ভিডিও করেন ওই ফরাসী স্কুবা ডাইভার অ্যামেরিক বেনহালাসসা। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে নিমিষেই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ওই মাছটি দেখতে অনেকটা কমলাটে-বাদামি বর্ণের। মাছটি কী প্রজাতির তা খুব কাছ হতে দেখলও বুঝতে পারা কঠিন। তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, এটি স্টিংফিশের কোনো প্রজাতি হতে পারে। এরপর তিনি ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভিডিওটিও পাঠান তাদেরকে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম পোস্ট করে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক বলেছে, মাছটির ‘পা’ এর মতো অংশটি প্রকৃতপক্ষে তার ‘পেকটোরাল ফিন’।
জাপানের কাগোশিমা ইউনিভার্সিটি মিউজিয়ামের মেরিন বায়োলজিস্ট হিরোয়ুকি মটোমুরা জানিয়েছেন, স্টিংফিশের সমস্ত প্রজাতিই কাদার মধ্যে হতে কীটপতঙ্গ খুঁজে বের করতে এই পেকটোরাল ফিন ব্যবহার করে থাকে। মাছটি যথেষ্ট বিষাক্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কয়েকজন মাছ বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে, মাছটি স্টিংফিস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। তবে মাছটি আসলে কোন প্রজাতির সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কোনো বিজ্ঞানী। তবে এই মাছের ‘হাঁটা’র গতি স্টিংফিশের থেকে অনেক বেশি। সেটিই বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য করেছে। বিজ্ঞানীরা এই মাছ নিয়ে আরও গবেষণা শুরু করেছেন। হয়তো একদিন এর আসর রহস্য বেরিয়ে আসবে। প্রকৃতপক্ষে এই মাছটি কোন প্রজাতির তাও হয়তো জানা যাবে।