দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জ্বর হওয়ার বিষয়টি প্রায়ই দেখা যায়। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে চিকুনগুনিয়ার প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। যে কারণে একটু জ্বর হলেই আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। ভাইরাস জ্বর হলে কী করবেন, আজ সে বিষয়টি জেনে নিন।
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণসমূহ
ভাইরাস জ্বরের নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ রয়েছে। সাধারণত কোনো ব্যক্তি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবার সঙ্গে সঙ্গেই তার ভাইরাস জ্বর হয় না। মানুষের শরীরে ভাইরাস আক্রমণের কয়েক দিনের মাথায় জ্বর দেখা দেয়।
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণগুলো হলো: শরীরে শীত-শীত ভাব থাকে, কাঁপুনি, মাথাব্যথা, হাত-পায়ের গিরায় ব্যথা, খাবারে অরুচি, নাক দিয়ে অঝোরে পানি ঝরা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চুলকানি, ঠাণ্ডা এবং সর্দিজনিত স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হওয়া। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই আবার এর কিছু ব্যতিক্রমও দেখা যায়। যেমন: পেটের সমস্যা, বমি ও ডায়রিয়াও হয় অনেকের। শিশুদের ক্ষেত্রে আবার কিছু ব্যতিক্রম লক্ষণ দেখা যেতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে টাইপ ‘বি’ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমণে পেটব্যথাও হতে পারে। ভাইরাস জ্বর সাধারণত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। বাতাসের মাধ্যমে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির কাশি থেকেও ভাইরাস জ্বরের সংক্রমণ ঘটতে পারে। ঠাণ্ডা লাগলে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজলেও ভাইরাস জ্বরের সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে।
ভাইরাস জ্বরের চিকিৎসায় করণীয় জেনে নিন
আমরা ভাইরাস জ্বর হলে অনেক সময় ভয় পেয়ে যায়। ভাইরাস জ্বর সাধারণত তেমন ভয়াবহ কোনো রোগ নয়। তাই ভাইরাস জ্বর হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণও নেই। এই জ্বরের জন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খেলেই যথেষ্ট। ভাইরাস জ্বরের ক্ষেত্রে সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রামও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাইরাস জ্বর হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে তার অসুস্থথাকাকালীন সময় ঘরের ভেতর থাকাই ভালো। কেনোনা এই জ্বর যেহেতু বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা অন্যান্য সুস্থ্য ব্যক্তিরাও এই ভাইরাস জ্বরের শিকার হতে পারেন। তবে ৪/৫ দিনের মধ্যে না সারলে, সপ্তাহ খানেকের বেশি সময় ধরে জ্বর দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: ল্যাবএইড হেলথ ট্রিপস।