দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা বলে থাকেন আসলে জ্বর কোন রোগ নয়। যে কোনো রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে জ্বর আসে। তাই জ্বর হলে ভাবতে হবে শরীরের কোনো না কোনো সমস্যা হয়েছে।
দেখা যায়, একটু জ্বর হলেই আমরা ঘাবড়ে যায়। কিন্তু এর বাস্তবতা আসলে সম্পূর্ণ ভিন্ন। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার জীবনে একবারও জ্বর হয়নি। আসুন জ্বর কেনো হয় সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
চিকিৎসা শাস্ত্র মতে, স্বাভাবিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৬.৬-৩৭.২ সে. পর্যন্ত হয়ে থাকে। থার্মোমিটারে ৯৮ থেকে-১০৫ সে. পর্যন্ত হলেই আমরা ধরে নেই যে জ্বর হয়েছে। এই জ্বর সেন্টিগ্রেড কিংবা ফারেনহাইট থার্মোমিটার দিয়ে মাপা হয়।
জ্বর হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন- ইনফেকশন, টিস্যু নেক্রোসিস ইত্যাদির কারণে শরীরে জ্বর তৈরিকারী পদার্থ পাইরোজেন নিঃসরণ হয়ে থাকে। আর এই পাইরোজেন প্রোস্টাগ্লান্ডিন নামক কেমিক্যাল মেডিয়েটর তৈরি করতে উত্তেজক হিসেবে কাজ করে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমন নানা ইনফেকশনের কারণে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর থেকে বেশি মাত্রায় পুনর্নির্ধারণ হয়। আর এটিকেই আমার জ্বর বলে জানি।
আর তাই চিকিৎসকরা জ্বর হলে স্বাভাবিক প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। এরপর জ্বর যদি না যায় তাহলে কারণ নির্ধারণে কিছু প্যাথলজি টেস্ট করান। প্যাথলজি টেস্টের মাধ্যমে সঠিক কারণ বেরিয়ে আসে। সেই মোতাবেক চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর তাই জ্বর হলে আগে ঘাবড়ে না গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করুণ। যদি তাতেও জ্বর না যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
নিম্মের কারণগুলোর কারণেও জ্বর হতে পারে:
# যে কোনও ধরনের ইনফেকশন। যেমন পুঁজ তৈরিকারক ইনফেকশন ফোঁড়া ওঠার কারণেও হতে পারে।
# আবার ভাইরাসজনিত প্রদাহের কারণেও জ্বর হতে পারে। যেমন সর্দি জ্বর, ডেঙ্গু, কাশি, হুপিংকাশি ইত্যাদি।
# দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ক্রনিক ইনফেকশনের কারণে যেমন- যক্ষ্মা রোগ।
# মহিলা এবং পুরুষদের জননতন্ত্রের প্রদাহ। যেমন প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশনসহ এমন নানা সমস্যার করণেও জ্বর হতে পারে।
# পরজীবিঘটিত রোগের কারণেও জ্বর হতে পারে। যেমন- ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ট্রিপোনোসোমা ইত্যাদি।
তথ্য: বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য তথ্যের সৌজন্যে।