দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় ১০০ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাসমান দেশ! এটিই হলো বিশ্বের প্রথম ভাসমান দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপর তাহিটির নিকটে অবিশ্বাস্য মনে হলেও তৈরি হচ্ছে এই ভাসমান দেশ।
জানা গেছে, খুব শীঘ্রই অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যেই তৈরি হতে চলেছে এই ভাসমান দেশটি। অস্ট্রেলিয়া হতে মাত্র ৪ হাজার ৯০০ মাইল দূরে এই দেশটি তৈরি হতে চলেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে তৈরি হবে এই দেশটি। এই দেশটির মধ্যেই থাকবে হোটেল, ঘরবাড়ি, রেঁস্তোরাসহ সবকিছু। পেপাল সংস্থাটি ইতিমধ্যেই এই ভাসমান দেশ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে।
এই ভাসমান দেশটি সমগ্র বিশ্ব হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে একেবারে পৃথকভাবে তৈরি হচ্ছে। এই দেশটি চলবে একেবারে তাদের নিজস্ব আইন-কানুন মতো। এই ভাসমান দেশ সম্পর্কে মুখ খুললেন সিস্টিডিং ইনস্টিটিউট। বলা হয়েছে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় হাজার খানেক ভাসমান শহর তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এই সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ভাসমান দেশের নিজস্ব আইন-কানুন থাকবে। এমনকি এই দেশে একেবারেই একনায়কতন্ত্র বজায় থাকবে। ২০২০ সালের মধ্যে এই ভাসমান দেশটিতে তৈরি হতে খরচ হবে প্রায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ভাসমান দেশের বিল্ডিংগুলো তৈরি হয়েছে বাঁশ, নারকেলের ছোবড়, কাঠ ও প্লাস্টিক দিয়ে।
ফ্রেঞ্চ পলিনেসিয়ান সরকার গত জানুয়ারিতে এই প্ল্যানটি বাস্তবায়িত করার জন্য প্রথম সম্মতি জানায়। প্রায় ১০০ একর এলাকা নিয়ে তৈরি হতে চলেছে এই দেশটি। ১১৮টি উপত্যকসহ এই নতুন শহরটিতে ২ লক্ষ মানুষ একসঙ্গে থাকতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে।