দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে শেফের কাজ করতেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয়! ইতিপূর্বে ঢাকায় এসে হোটেল পূর্বাণীতে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য দিয়েছিলেন বলিউডের এই খ্যাতিমান অভিনেতা!
ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে- ২০১১ সালে তিন দেশের শিল্পীদের নিয়ে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো বেসরকারি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। একের পর এক বিদেশী শিল্পীরা মঞ্চে উঠতে শুরু করলেন; পারফর্মও করলেন।
বিদেশী শিল্পীদের পারফর্ম দেখে উপস্থিত দর্শকরা আনন্দিত হচ্ছেন। সেবারই ঢাকার ওই অনুষ্ঠানে প্রথম আসেন ভারতীয় এই খ্যাতিমান অভিনেতা অক্ষয় কুমার। অক্ষয় তখন অনেক জনপ্রিয়। কাছাকাছি সময় বেশকিছু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছিলেন তিনি। অক্ষয় যখন মঞ্চে উঠলেন তখন হাততালিতে ফেটে পড়লো পুরো হলরুম। মঞ্চে উঠে বললেন, ‘এটা আমার প্রথম সফর নয়, ঢাকায় এর আগেও আমি এসেছি,’ তখন আবার হাততালি শুরু হলো।
এবার অক্ষয় বললেন, ‘আমি অভিনেতা হিসেবে নয়, এর আগে এসেছিলাম অন্য পরিচয়ে। ‘হল স্তব্ধ হয়ে এলো। অক্ষয় বললেন, ‘এর আগে আমি যখন ঢাকায় এসেছিলাম, তখন আমি হোটেল পূর্বাণীতে শেফ এর কাজ করতাম! ‘নেমে এলো পুরো হলজুড়ে আরও নীরবতা।
অক্ষয় তখন জানালেন তিনি ঢাকার হোটেল পূর্বাণীতে ৬ মাস কাজ করেছেন। এরপর ব্যাংককেও একই কাজ করেছেন তিনি। সেই অক্ষয়কে এখন সমগ্র বিশ্ববাসী চেনেন। বলিউডের শীর্ষসারির নায়ক তিনি।
১৭০টিরও অধিক ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয় হয়েছেন বলিউড হিরো অক্ষয় কুমার। কয়েক বছর পূর্বে নিউ ইয়র্কে তার জীবনের গল্প বলতে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে অভিনন্দন জানান অক্ষয়।
অক্ষয় কুমার বলেছেন, ‘মা-বাবার আশীর্বাদ নিয়ে ঘর হতে বের হলে সাফল্য আসবেই। আমি সেভাবেই আজকের পর্যায়ে এসেছি। আমি এই উপদেশই আমার ভক্তদের দিতে চাই।’
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার ২০১৩ সালে নিউ ইয়র্কের সেই অনুষ্ঠানে বাঙালি প্রযোজক-পরিচালক প্রণব চক্রবর্তীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন যে, তাঁর ‘দিদার’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই আমার চিত্রজগতে প্রথম প্রবেশ। আমি তাঁর প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
অক্ষয় সবসময় বলে থাকনে, বাংলাদেশী, পাকিস্তানী, ভারতীয় ট্যাক্সি ড্রাইভারের প্রায় সকলেই প্রচণ্ড কৌতূহল নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারা বিশ্বাস করতে চান না যে আমি অক্ষয় কুমার। বিষয়টি আমাকে খুব মজা দেয়। আমি প্রাণ ভরে উপলব্ধি করি।
অক্ষয় বলেন, ‘রাস্তায় অপেক্ষা করছি ট্যাক্সির জন্য। এই সময় দেখলাম, একটি ট্যাক্সি আমাকে পাশ কাটিয়ে সামনে গেলেন বেশ কয়েক ব্লক। যাত্রীও ছিলেন ওই ট্যাক্সিতে। আমি কেনো জানি না ওই ট্যাক্সির দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম ট্যাক্সিটি তার এক নারী যাত্রীকে অনুরোধ করে নামিয়ে ইউ টার্ন করে আমার কাছে এসে দাঁড়ালো। অপরদিকে, নামিয়ে দেওয়া মহিলা যাত্রীটিও দৌড়ে আমার দিকে আসতে দেখলাম। ‘‘কারণ, ট্যাক্সিতে তার জিনিস ছিল। মহিলাটি অনেক অনুরোধ করলেন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্র। তবে বাংলাদেশী সেই ক্যাবচালক সবকিছু উপেক্ষা করে আমাকেই উঠিয়ে নিলেন। কিছুদূর যাবার পরই তিনি যে আমাকে সত্যি সত্যি চিনে ফেলেছেন তাও জানালেন।’
অক্ষয় বলেন, ‘যদিও আমি তখন পর্যন্ত কোনো কথাই বলিনি এই ব্যাপারে। অবশেষে বলতে বাধ্য হয়েছি তার আনন্দ-অনুভূতি দেখে। কী যে খুশি হয়েছিলেন তিনি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ওই ট্যাক্সি চালকের একটি প্রশ্ন ছিল, আমি কেনো ট্যাক্সিতে চলাফেরা করছি।’