দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারণা ছাড়া কিছুই দেয়নি পাকিস্তান’।
আফগানিস্তান নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা প্রকাশের পর পাকিস্তানকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে ছিল পাকিস্তানকে দেওয়া অর্থ সাহায্য বন্ধ করার কথাও। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য দেওয়া বন্ধই করে দিতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই ঘোষণার জন্য মোক্ষম দিন হিসেবে ইংরাজি নববর্ষের প্রথম দিনকেই বেছে নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০০২ সাল হতে সন্ত্রাস দমনে প্রতিবছর পাকিস্তানকে বিপুল অর্থ সাহায্য দিয়ে আসছিলো যু্ক্তরাষ্ট্র। এই বছরও ২৫ কোটি ৫০০ ডলার দেওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।
জঙ্গি ইস্যুেত পূর্বেই মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দেন যে, পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য চালিয়ে যাওয়া হবে কিনা বিষয়টি নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে ওয়াশিংটন।
গতকাল (সোমবার) টুইট করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বোকার মতো ৩ হাজার ৩শ’ কোটি ডলার পাকিস্তানকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর বিনিময়ে তারা আমাদের শঠতা, মিথ্যা কথা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি। তারা ভেবেছে আমরা বোধহয় বোকা।’
পূর্বের কথার পুনরাবৃত্তি করে ট্রাম্প আরও বলেছেন, আমরা আফগানিস্তানে যে জঙ্গিদের খুঁজছি তাদেরই নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তান, তাছাড়া আর কিছু নয়।’
গত আগস্টে আফগানিস্তান নীতির পর্যালোচনা করতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘ওই দেশটি এমন জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়, যারা আফগানিস্তানে আমাদের সেনাদের হত্যা করছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের তাৎক্ষণিক জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ। পাল্টা টুইট করে তিনি বলেছেন যে, ‘আসল ঘটনা এবং মিথ্যা গল্পের পার্থক্য বিশ্ব দ্রুতই প্রকৃত সত্যটা জানবে। আমরা সেটা দেখাবোও।’
পাকিস্তানের জিও নিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ইউএসএকে বলেছি যে, আমরা আর বেশি কিছু করবো না, তাই ট্রাম্পের ‘নো মোর’(অর্থ সাহায্যের কথা) কোনো গুরুত্বই বহন করে না। পাকিস্তানে মার্কিন সহায়তার যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গেছে তা সর্বজনীনভাবে প্রকাশ করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত।’
খাজা আসিফ আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়ের কারণে ট্রাম্প হতাশ হয়ে পড়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এটিই তার একমাত্র কারণ। আফগানিস্তানে সামরিক বাহিনী ব্যবহারের পরিবর্তে তালেবানদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।’