দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চলচ্চিত্রের সেই ছোট্ট দীঘি এখন অনেক বড়। দর্শকরা তাকে নায়িকা হিসেবে দেখার জন্য উদগ্রিব। তবে এবার আশার কথা হলো দীঘি তার ভক্তদের আশ্বাস দিলেন।
বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে ২০০৫ সালে মিডিয়ায় প্রথম প্রকাশ আত্মপ্রকাশ করেন দীঘি নামের ছোট্ট এক ‘গুণী’ শিল্পী। এরপর ২০০৬ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘কাবুলিওয়ালা’। প্রথম ছবিতেই দীঘি পেয়ে যান শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
আরও দুইবার সে এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেয়েছে ২০০৮ সালে ‘এক টাকার বউ’ ও ২০১০ সালে ‘চাচ্চু আমার চাচ্চু’ ছবিতে অভিনয় করে। শিশু থেকে কিশোরী হওয়ার পূর্বেই দীঘি অভিনয় করেছেন ২২টি ছবিতে। এরপরই দীঘি চলে যান বিরতিতে। মনোযোগী হয়ে উঠেছেন লেখাপড়ায়।
যে কারণে ক্যারিয়ারের যবনিকা টানেন এই ক্ষুদে গুণী অভিনেত্রী। এবার তার ভক্তদের জন্য নতুন খবর হলো সেই দীঘি আবারও আসছেন। এবার নিজেকে প্রস্তুত করে ভিন্ন রূপে, ভিন্ন আঙ্গিকে। জানা গেছে, আর অপেক্ষা করতে হবে মাত্র ২ বছর। এক বছর পড়ালেখার জন্য ও পরের বছর প্রস্তুতির জন্য।
তারপরই এই শিশু শিল্পী বড় পর্দায় ফিরবেন একজন পরিপূর্ণ তারকা রূপে। প্রার্থনা ফারদিন দীঘি বর্তমানে স্টামফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছেন। আগামী বছরই তার এসএসসি পরীক্ষা। আপাতত পড়ালেখার বাইরে ভিন্ন কোনো চিন্তা তার মনের মধ্যে নেই।
পরীক্ষা শেষ করে দীঘি বড়পর্দার প্রস্তুতি হিসেবে শুরু করবেন নাচের তালিম ও শরীরচর্চা। এক বছর নিজেকে প্রস্তুত করে আবারও রঙিন জগতে ফিরবেন দীঘি। দীঘির কথা হলো, ‘আমার রক্তে অভিনয় খেলা করে, রক্তের সঙ্গেই মিশে রয়েছে সিনেমা। আগামীর লক্ষ্য যদি বলেন তাহলে অবশ্যই সিনেমাকে বেছে নেবো আমি।’
উল্লেখ্য, বাবা সুব্রত এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক, এখনও তিনি অভিনয় করেন। মা মরহুমা দোয়েল রুপালি ফিতার আমলে ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা নায়িকা হিসেবে।