দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিথ্যা বলার দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। যখন খুশি ইচ্ছে মতো মিথ্যা বলার বদঅভ্যাস এখন থেকেই দূর করার চেষ্টা করুন। কারণ এমন এক মোবাইল আসছে যে মিথ্যা বললেই ধরে ফেলবে!
অনেক সময় দেখা যায় এক স্থানে থেকে অপরপ্রান্তের কাওকে বলা হচ্ছে মিথ্যা কথা। এমন ঘটনা আমরা হর হামেশায় দেখতে পায়। তবে এখন থেকে সেই মিথ্যা কথা বলার দিন বোধহয় শেষ হয়ে যাচ্ছে। মোবাইলে এমন মিথ্যা বলার দিন এবার সত্যিই শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিজের সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে অন্যকে হয়রানি কিংবা অলস বসে থেকে অন্যের কাছে ব্যস্ত মানুষের ভান ধরে রাখার দিন শেষ হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের খবরে জানা গেছে, এবার বিজ্ঞানীরা এমন এক স্মার্টফোন আবিষ্কার করছেন যেটাতে চ্যাট বা কথা বলার সময় এসব সস্তা ছলচাতুরি বা মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। ফোনের অন্যপ্রান্তে যিনি আছেন, তাকে কোনোরকম মিথ্যা কথা বললেই সঙ্গে সঙ্গেই তা ধরে ফেলবে সেই স্মার্টফোনটি। বিশেষ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ওই স্মার্টফোনের সাহায্যেই কে সত্যি বলছে, আর কে মিথ্যা বলছে তা ধরে ফেলা সম্ভব হবে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণা ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, যদিও বিষয়টি এখনও গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে, তথাপিও অদূর ভবিষ্যতে তা কার্যকরি হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। তারা একটি অ্যাপ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন। এই অ্যাপটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে নিলেই সেই স্মার্টফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই লাই ডিটেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করবে।
সিএনএনকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, কোনো ব্যক্তি মিথ্যা বলছেন কিনা, তা মোবাইলে কীভাবে সোয়াইপ করছেন কিংবা ট্যাপ করছেন, তা থেকেই বোঝা যাবে। টাইপ করার সময় কেও মিথ্যে কথা বললেও টাইপিং-এ বেশি সময় লাগে বলে সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন এই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।
বলা হয়েছে, যে কথাটি সত্যি হিসেবে মনে করবে মোবাইলের লাই ডিটেক্টর, তার পাশে সবুজ টিক চিহ্ন দেখা দেবে। অপরদিকে মিথ্যা কথা বলছে বলে মনে হলে তার পাশে লাল কাটা দাগ দেখা দেবে লাই ডিটেক্টরটি। পরস্পরবিরোধী ৩টি ভিন্নধর্মী পরীক্ষার মাধ্যমে ওই অ্যাপের সফলতা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনের জন্য ডিজাইন করা অ্যাপটি নিয়ে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই সম্পর্কে একটি সুসংবাদ পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।