The Dhaka Times Desk ভ্রমণের জন্য ঐতিহাসিক স্থান সত্যিই এক অন্য রকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। তাই চলে যান মাগুরাতে। সেখানে রয়েছে শ্রীপুর জমিদার বাড়ি। ঘুরে আসুন এই ঐতিহাসিক স্থান থেকে। আপনি এক অন্য রকম অনুভুতি পাবেন। ইতিহাসের অনেক কিছুই আপনার চোখের সামনে তখন ভেসে উঠবে।
ভ্রমণের জন্য ঐতিহাসিক স্থান সত্যিই এক অন্য রকম অনুভূতির সৃষ্টি করে। তাই চলে যান মাগুরাতে। সেখানে রয়েছে শ্রীপুর জমিদার বাড়ি। ঘুরে আসুন এই ঐতিহাসিক স্থান থেকে। আপনি এক অন্য রকম অনুভুতি পাবেন। ইতিহাসের অনেক কিছুই আপনার চোখের সামনে তখন ভেসে উঠবে।
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা সদর হতে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পাল রাজার রাজপ্রাসাদ। সেখানকার ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন তথা শ্রীপুর জমিদার বাড়ি। শ্রীপুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরী জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাস হতে জানা যায় যে, ১৫০০ শতাব্দীতে সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরী নবাব আলীবর্দী খাঁর কাছ থেকে এই জমিদারীটি কিনে নেন।
প্রচলিত রয়েছে যে, শ্রীপুর জমিদার বাড়ি নির্মাণের পূর্বে বাংলার বারো ভূইয়ার মধ্যে অন্যতম হলো যশোরের মহারাজা প্রতাপাদিত্যের ছেলে উদয়াদিত্যের সঙ্গে জমিদার সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরীর মেয়ে বিভা রানী পাল চৌধুরীর বিবাহ দেওয়া হয় ও শ্রীপুর জমিদার বাড়ি নির্মাণে রাজা প্রতাপাদিত্য বিভিন্নভাবে সহযোগিতাও করেছেন।
জমিদার সারদা রঞ্জন পাল চৌধুরীর মেয়ে বিভা রানী পাল চৌধুরীকে নিয়েই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বৌঠাকুরানীর হাট’ উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন। শ্রীপুর জমিদার বাড়ির দৃষ্টিনন্দন বিশাল প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ ও বাড়ির সিংহদ্বার শ্রীপুর জমিদার বাড়ি দেখতে আশা দর্শনার্থীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতো।
how to go
ঢাকা হতে সোহাগ পরিবহন, হানিফ, দ্রুতি, ঈগল পরিবহণের এসি, নন-এসি বাসে করে ৩০০ হতে ৮৫০ টাকা ভাড়ায় মাগুরা জেলায় যেতে পারবেন। মাগুরা জেলা সদর হতে শ্রীপুর উপজেলার দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। মাগুরা শহর হতে শ্রীপুর যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। শ্রীপুর বাস স্ট্যান্ড নেমে রিকশা কিংবা ইজিবাইকের মতো স্থানীয় পরিবহণে চরে শ্রীপুর-সাচিলাপুর রাস্তার বামপার্শ্বে অবস্থিত শ্রীপুর জমিদার বাড়ি আপনি পৌঁছে যাবেন।
where will you stay
মাগুরাতে আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। রাত্রিযাপনের প্রয়োজনে হোটেল চলন্তিকা বা ছায়া বিথীকে বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও জেলা পরিষদের ডাক বাংলো ও মাগুরা সার্কিট হাউজে অনুমতি সাপেক্ষ্যেও থাকতে পারবেন।
Source: https://vromonguide.com