দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রমজান এলে বিশেষ করে যাদের শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থতা রয়েছে তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। ফরজ রোজা কাজা করা তাদের জন্য যেমন পীড়াদায়ক। তাই আজ জেনে নিন রমজানে সুস্থ থাকার কয়েকটি উপায়।
যারা অসুস্থ্য যেমন যাদের গ্যাস্ট্রিক-্আলসার বা অন্য কোনো অসুখ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে রোজা রাখা বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই রমজানে আপনি রোজা রাখতে পারেন কোনো সমস্যা ছাড়ায়। কিছু নিয়ম মেনে চললে রোজায় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে।
অনেকেই একটু বেশি ঘুমানোর জন্য সেহরি বাদ দিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই মনে করেন সেহরির সময় খেলে গ্যাস্ট্রিক বাড়তে পারে ইত্যাদি। এটি মোটেও উচিত হবে না। মনে রাখবেন সেহেরি আপনার দিনের ফার্স্ট মিল, এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকা মোটেও উচিত নয়। সেহেরি না খাওয়ার কারণে শরীরে মেটাবলিক হার কমে যেতে পারে, যার জন্য ইফতারে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়। যদি পরিমাণে কমও হয় অর্থাৎ পরিমিত হলেও আপনাকে সেহরি খেতে হবে। বেশি সমস্যা হলে আপনি কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিতে পারেন। কারণ খেজুরে প্রচুর ক্যালরি রয়েছে। এক প্লেট ভাত খেয়ে যে উপকার পাবেন কয়েকটি খেজুরও সেই কাজ করবে।
রমজানের সময় নিয়মিত ব্যায়াম করা বেশ কঠিন একটি কাজ। এই মাসে একটু পরিবর্তন করে ইফতার ও সেহেরির খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটুন। তাতে করে আপনার মেটাবলিক রেট সচল রাখতে সাহায্য করবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের মহানবী (স:) এর গোল্ডেন নিয়ম মেনে চলুন। সম্পূর্ণ পেট ভরে না খেয়ে পেট কিছুটা খালি রেখে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এক-তৃতীয়াংশ খাবার, এক তৃতীয়াংশ পানীয় ও এক তৃতীয়াংশ পেট খালি রাখুন। তাকে গ্যাস্ট্রিক ভাব যাদের আছে তারাও উপকার পাবেন।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ও প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। কারণ সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে এমন চিনিযুক্ত খাবার আপনার শরীরের জন্য এ্যাফেক্ট করতে পারে।
আপনি ইফতারের সময় তাড়াহুড়ো না করে কিছুটা ধীরে সুস্থে ইফতার করুন। প্রথমে খেজুর ও পানি দিয়ে রোজা ভাঙ্গার পর ধীরে সুস্থে আস্তে আস্তে ভারি খাবার খাওয়া শুরু করুন। তাজা ফল, সবজি বা স্যুপ রাখতে পারেন খাদ্য তালিকার মধ্যে।
ভাজাপোড়া খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। যতোটা কম ভাজাপোড়া খাওয়া যায় ততোই মঙ্গল। সমুচা, সিদ্ধ আলু, মোমো, চাপাটি ও সবচেয়ে ভালো সোলা খাওয়া।
যদি আপনার সুযোগ থাকে অর্থাৎ কাজ-কর্ম না থাকলে সময় করে দুপুরে যোহরের নামাজের পর হালকা একটি ঘুম দিতে পারেন। এটি সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে কাজে আরও শক্তি তৈরি করবে।
ইফতারের পর হতে শুরু করে সেহেরির সময়ের আগে পর্যন্ত ৮ হতে ১২ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করার চেষ্টা করুন। তবে মিষ্টি পানীয়, জুস ইত্যাদি পান করার থেকে সাদা নরমাল পানি পান করা উত্তম। কারণ হলো সারাদিন রোজা রাখার কারণে শরীরে কিছুটা হলেও পানির ঘাটতি দেখা দেয়। তাই পানি খাওয়া আপনার জন্য জরুরি একটি বিষয় সেটি মনে রাখবেন।
কখনও অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। ইফতার বা সেহরিতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এটি হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। যে কারণে ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। তাই পরিমিত আহার স্বাস্থ্যের জন্য সব সময়ই মঙ্গলজনক সেটি আপনাকে মনে রাখতে হবে।