দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দেশে রমজান এলে জিনিসপত্রের দাম আরও বৃদ্ধি পায়। অথচ বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে এর ব্যতিক্রম ঘটে। রমজানে কাতারসহ আরব দেশগুলোতে ব্যাপক মূল্যহ্রাস ঘটেছে!
রমজান এলে পণ্যের দাম বৃদ্ধি তো দূরে থাক বরং কমানোর প্রতিযোগিতা চোখে পড়ে আরব দেশগুলোতে। রমজান মাসে ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য পণ্যের দাম কমানোর নির্দেশনা জারি করে এইসব দেশগুলোর সরকার। ব্যবসায়ীরাও পবিত্র মাস হিসেবে নির্দেশনা অকপটে মেনে নেন। এই রমজানেও কাতারে খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত মিলিয়ে ৫ শতাধিক পণ্যের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে কাতারের অর্থনীতি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যেকোনো সুপারশপ বা দোকানে এসব পণ্য সাধারণ মানুষ সরকার নির্ধারিত ছাড়কৃত মূল্যে কিনতে পারবেন। কাতারের নাগরিকসহ দেশি-বিদেশি সব শ্রেণীর মানুষ এই সুবিধাটি পাবে।
রমজানের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য দুধ, মুরগি, চাল, আটা, ময়দা, চিনি, ভোজ্য তেল ইত্যাদি নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সব পণ্যেই ১০ হতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে অর্থনীতি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই ছাড় মিলবে রমজানের প্রথম দিন হতে শেষ দিন পর্যন্ত। এতে সহযোগিতা করবে সব সুপারশপসহ খুচরা দোকানিরাও। ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ যাতে না পড়ে সে লক্ষ্যে ‘আকলমিন আলওয়াজিব’ নামে এই অফারটি চালু করেছে কাতার সরকার।
পণ্যের হ্রাসকৃত দাম সব বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সে ঝুলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি ওয়েবসাইট এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া রমজান মাস উপলক্ষে দেশের নাগরিকদের মাসিক রেশন হিসেবে অতিরিক্ত ৫০ কেজি আটা সরবরাহ করারও ঘোষণা দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে রেশনের মধ্যে দুধ ও চিনির পরিমাণও বাড়ানো হবে।