দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ ওয়ারলেস ইন্টারনেট রাউটার ও ওয়াই ফাই মডেমের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন মানব শরীরে ভয়ংকর ক্ষতি করে। ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই রাউটার, জিএসএম মডেম, জিপিএস এনাবল ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, রেডিও টিভি, এইসব থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকুন।
আপনার যদি ওয়ারলেস ইন্টারনেট রাউটার অথবা ওয়াই ফাই মডেমের সংযোগ থাকে তাহলে এখনি সাবধান হয়ে যান। কারণ আপনি ভয়ংকর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের (EMF) মাঝেই আছেন। রাউটার ও ওয়াই ফাই এন্টেনার মাধ্যমে যে ম্যাগনেটিক তরঙ্গের বিচ্ছুরণ ঘটে এতে আপনার শরীরেও ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব। চলুন নিচে ওয়াইফাই ও তাঁর ক্ষতিকর সব প্রভাব দেখি এবং এর থেকে প্রতিকারের উপায় সমূহ।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের তীব্রতাঃ রাউটার অথবা তারের মডেম থেকে আমরা ইন্টারনেট অথবা অন্যান্য যেসব নেটওয়ার্ক গ্রহনকরি তা থেকে যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের তৈরি হয় তা আমাদের শরীরে গভীর ক্ষতি করে। আমরা ঘরে মাইক্রো ওয়েভে যে তরঙ্গের সাহায্যে খাবার গরম করি সেই একি তরঙ্গ বিকিরিত হয় এসব ওয়ারলেস রাউটারে এসব তরঙ্গ সাধারণত লো গিগাহার্জে বিকিরিত হয়।
ওয়াই ফাই দীর্ঘ সময় ব্যবহার সাস্থের জন্য ভীষণ ক্ষতিকরঃ বেশীর ভাগ ওয়াই ফাই ও রাউটারের কারনে শরীরে যে ক্ষতি হয় তাঁর মূল কারণ কাজ ছাড়া আমরা ওয়াই ফাই ও রাউটার সংযোগ বন্ধ করি না, বিশেষ করে রাতের বেলায়ও এসব সংযোগ চলতে থাকে ফলে এ সময় এসব তরঙ্গ আমাদের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে।
ওয়াই ফাই সিগন্যাল লেয়ার স্বাস্থ্য ক্ষতি প্রভাবিত করেঃ একবার ভেবে দেখেছেন কি আপনি অথবা আপনার প্রতিবেশী যখন ওয়াই ফাই সিগন্যাল সার্চ করেন তখন কি হয়? তরঙ্গ চলাচল করার সময় তার আশে পাশে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে যার থেকে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন উৎপন্ন হয়। ওয়াই ফাই সিগন্যাল আপনার ত্বকের ভেদ করে শরীরের অভন্তরে চলে যায়। এর ফলে আপনার শরীরের ভেতর ও চামড়া ক্যান্সারের ঝুঁকির মাঝে থাকে।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ বিকিরণের ফলে শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা এক গবেষণায় দেখেন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ বিকিরণের ফলে মানব শরীরে নানা বিদ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় যেমন মাথা ধরা, মাথা ব্যথা, চোখের দৃষ্টি ঘোলা হয়ে যাওয়া, স্বল্প নিদ্রা, হৃদ রোগ সহ নানান রোগ দেখা দেয়। রাউটার ও ওয়াই ফাই টাওয়ারে যেহেতু তরঙ্গ ব্যাবহৃত হয়, তাই এসব টাওয়ারের আশেপাশে শক্তিশালী রেডিয়েশন উৎপন্ন হয়। এই রেডিয়েশন এন্টেনার যত কাছে থাকে তত শক্তিশালী, এবং দূরত্ব বারলে দূর্বল হয়ে পড়ে। তাই অপ্রয়োজনীয় কারণে রাউটার ও ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক থেকে দূরে থাকতে হবে।
আমাদের বর্তমান লাইফ স্টাইলে আমরা রাউটার ও ওয়াই ফাই তথা টেকনোলজি থেকে দূরে থাকতে পারবোনা! তবে আমরা যা পারি তা হলঃ
- ওয়াই ফাই ও রাউটার নেটওয়ার্ক থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
- কাজের গতি দ্রুত করা, অর্থাৎ দ্রুত প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলে নেটওয়ার্ক থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়া।
- ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ বিকিরণের ফলে শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও এর ক্ষতির বিষয়ে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা।
- শিশু ও প্রেগন্যান্ট মহিলাদের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ থেকে দূরে রাখা।
সূত্রঃ সেফ স্পেস প্রোটাকশান।