দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবার সফলভাবে স্পেস ক্যাপসুলের পরীক্ষা চালিয়েছে। মহাকাশে অভিযান চালানোর সময় যদি হঠাৎ কোন বিপদ ঘটে, তখন মহাকাশ্চারীকে দ্রুত এবং নিরাপদে মহাকাশযান থেকে বের করে আনার জন্য এই স্পেস ক্যাপসুল ব্যবহার করা হবে। গত ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সকাল সাতটায় পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণ চালানো হয়।
লঞ্চপ্যাড থেকে একটি রকেটে করে ক্যাপসুলটি উৎক্ষেপণ করা হয়। যদিও মহাকাশচারীকে রক্ষা করার জন্য এই স্পেস ক্যাপসুল তৈরি করা হয়েছে কিন্তু পরীক্ষা করার সময় এর মধ্যে কোন মানুষকে না পাঠিয়ে একটি প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের মডেল পাঠানো হয়েছিল। সলিড মোটর ইঞ্জিন চালু হওয়ার সাথে সাথে ইঞ্জিনটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ক্যাপসুল। সঙ্গে সঙ্গেই খুলে যায় প্যারাসুট। প্রায় ৫ মিনিট পর ক্যাপসুলটি বঙ্গোপসাগরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে এসে নামে।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার চেয়ারম্যান কে শিবান জানান, “মহাকাশচারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করারই পরীক্ষা ছিল এটা। মহাকাশ অভিযানে মূল মহাকাশযানে কোনও সমস্যা দেখা দিলে মহাকাশচারীরা ‘প্যাড অ্যাবর্ট’ নামের এই ক্যাপসুলটির সাহায্যে দ্রুত এবং নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন।
এরপর তারা পরীক্ষা করে দেখবেন ক্যাপসুলটি চলন্ত মহাকাশযান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীতে নিরাপদে পৌঁছাতে পারছে কিনা। এছাড়া মহাকাশচারীদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ, প্রেসার সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ সহ ক্রু প্রোটেকশন সিস্টেম সবই পরীক্ষা করে দেখা হবে। প্রথম ভারতীয় হিসেবে রাকেশ শর্মা ১৯৬২ সালে মার্কিন মহাকাশচারীদের সঙ্গে মহাকাশে গিয়েছিলেন। এই সকল পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পর দেশীয় প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হবে।