দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়ালেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা নিয়োগ পাওয়ার পর নিজ কোম্পানির নিন্মগতির কারণে শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ালেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে আমেরিকার শীর্ষ সুন্দরীদের একজন। তিনি ‘ইভাঙ্কা’ নামের ফ্যাশনপণ্যের মালিক তিনি। ক্ষমতায় আসার পর বিক্রি হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছিল তাঁর কোম্পানীর। তবে হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা নিয়োগ পাওয়ার পর আবার বিক্রি কমতে থাকে। তাই এবার বাবার উপদেষ্টা হিসেবে নিজেকে আরও মনোনিবেশ করানোর উসিলায়, ব্যবসাটা ছেড়ে দিচ্ছেন মার্কিন এই সুন্দরী।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে ইভাঙ্কা জানিয়েছেন, ‘ইভাঙ্কা’ নামে তাঁর ফ্যাশনপণ্যের কোম্পানি তিনি বন্ধ করে দিচ্ছেন। এখন থেকে ইভাঙ্কা ব্র্যান্ডের কোনো পণ্য বাজারে আর ছাড়া হবে না। নিজের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় ইভাঙ্কা জানিয়েছেন যে, ১৭ মাস হোয়াইট হাউসে বাবার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি নিশ্চিত নন যে, এরপর আবার কখনও ব্যবসায় ফিরে আসতে পারবেন। ‘আমার সব মনোযোগ এখন ওয়াশিংটনে, আমি যে দায়িত্বে রয়েছি তার ওপর রয়েছে আমার দৃষ্টি।’
হোয়াইট হাউসে তাঁর দায়িত্বের কথা কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেও ইভাঙ্কার সিদ্ধান্ত সম্ভবত কোম্পানির জমা-খরচের খাতার ভিত্তিতেই বলে মনে করা হচ্ছে। গত এক বছরে এই কোম্পানিগুলোয় ইভাঙ্কার নামাঙ্কিত পণ্যের বিক্রি অন্তত ৫৫ শতাংশ কমে যায়। ইভাঙ্কার কোম্পানির পণ্য বিক্রিতে অস্বীকার করায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে এসব কোম্পানির চরম সমালোচনা করেছিলেন।
ইভাঙ্কা দাবি করেছিলেন, তাঁর কোম্পানির ফ্যাশনসামগ্রীর অধিকাংশ মেয়েদের তৈরি। নারী কর্মীরা যাতে করে ন্যায্য মজুরি পান, সেই বিষয়ে তিনি সচেতন থাকবেন। বাস্তবে ঘটেছে ঠিক উল্টো। ইভাঙ্কার তৈরি পোশাক বা হাতব্যাগের মতো পণ্য চীন ও ইন্দোনেশিয়াতে বানানো হতো, যেখানে নিম্ন মজুরির পাশাপাশি নিম্নমানের কর্মপরিবেশের জন্য তাঁর কোম্পানি সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। এভাবেই তাঁর কোম্পানির বিক্রি কমতে থাকে।