দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের সমস্ত শরীরকে পরিচালনা করে মস্তিষ্ক। অর্থাৎ শরীর যদি একটি গাড়ি হয় তাহলে মস্তিষ্ক হল তার ড্রাইভার। ড্রাইভিং করতে করতে হঠাৎ ড্রাইভার যদি ঘুমিয়ে পড়ে তাহলে গাড়ির কি অবস্থা হবে? নিশ্চয় এক্সিডেন্ট করবে এবং এটাই স্বাভাবিক। আমাদের মস্তিষ্কও ঠিক একি রকম ড্রাইভার।
হঠাৎ করে মস্তিষ্ক যদি তার কাজ করা বা ড্রাইভিং করা বন্ধ করে দেই, তাহলে আমরাও বড় ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হবো। তাই আমাদের সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে কোন ভাবেই যেন আমাদের মস্তিষ্ক ঘুমিয়ে না পড়ে বা অতিরিক্ত মানসিক চাপে ক্লান্ত হয়ে না যায়। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে আমাদের মস্তিষ্ককে চাপ মুক্ত রাখতে পারি।
১। নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখাঃ
কখনই কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি যখন কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে করতে আপনি বুঝতে পারবেন, বিষয়টি আপনার মস্তিষ্কের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে,তখন সেই বিষয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন। কারণ এভাবে চাপ নিয়ে আর কিছুক্ষণ চিন্তা করলে আপনার মস্তিষ্ক তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই সেই চিন্তা করা বন্ধ রেখে কিছু সময়ের জন্য প্রকৃতির মুক্ত বাতাস এবং সবুজ গাছপালার দৃশ্য উপভোগ করুন। তাহলে মস্তিষ্ক সেই চাপ থেকে মুক্ত হবে। পরবর্তীতে আবার সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করার মত মানসিকতা ফিরে পাবেন।
২। পরিবার বা বন্ধুদের সাথে একটু খোশগল্প করুনঃ
যখন আপনি বুঝতে পারবেন কোন কারণবশত আপনার মস্তিষ্কের উপর অনেক চাপ পড়ছে বা কোন সমস্যার সমাধান নিয়ে আপনি মানসিকভাবে খুব চিন্তিত, তখন কিছু সময়ের জন্য পরিবার বা বন্ধুদের সাথে খোশগল্পে মেতে থাকুন। দেখবেন আপনার মস্তিষ্ক আবার আগের মত স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
৩। জরুরী মূহুর্তে একাকিত্ব বর্জন করুনঃ
এখানে জরুরী মূহুর্ত বলতে সেই সময়কে বোঝানো হয়েছে যখন আপনি কোন মারাত্বক সমস্যা নিয়ে একাকি ভাবছেন কিন্তু কোন সমাধান বের করতে পারছেন না। এই সময় মানুষ তার নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে এবং ভাবে এই মারাত্বক বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার হয়ত আর কোন উপায় নেই। ফলে তার মস্তিষ্কের উপর প্রবল চাপের সৃষ্টি হয় এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব একাকিত্ব বর্জন করে মুক্ত পরিবেশে যান এবং অন্যদের সাথে একটু হাসি তামাশা করার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার মস্তিষ্কের সেই চাপ আস্তে আস্তে কমে যাবে। ফলে আগের বিষয়টি নিয়ে ভালভাবে আবার চিন্তা করার মত মানসিকতা ফিরে পাবেন।
৪। আত্মবিশ্বাসী হওয়ার চেষ্টা করুনঃ
কোন কাজ করার সময় কখনই নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাবেন না। কারণ নিজের প্রতি বিশ্বাস হারালে আপনার মস্তিষ্কও আপনার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবে। তাই যেকোন কঠিন বিষয়কে সহজভাবে চিন্তা করুন। ধরুণ আপনি পরীক্ষা দিচ্ছেন। আর মাত্র এক ঘণ্টা সময় আছে কিন্তু আপনাকে অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে এবং সেই গুলো আপনার বুদ্ধিমত্তার উপর ভিত্তি করে লিখতে হবে । এমন সময় ভাবলেন আপনার দ্বারা হয়ত এই সময়ের মধ্যে সব উত্তর করা সম্ভব না। তাই দ্রুত চিন্তা করতে শুরু করলেন। এর ফলে আপনার মস্তিষ্কের উপর ব্যাপক চাপ পড়বে এবং কোনভাবেই আপনি দ্রুত চিন্তা করে লিখতে পারবেন না। অন্যদিকে আপনি যদি বিষয়টিকে সহজ ভাবে দেখেন, তাহলে দ্রুত চিন্তা করতে এবং লিখতে পারবেন। কারন এই সময় আপনার মস্তিষ্কে তেমন চাপ পড়বে না।