দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিটি সন্তানেরই মূল ভিত্তি গড়ে ওঠে শৈশব থেকেই। তাই শৈশব থেকেই পিতা-মাতা এবং নিকটতম সবার দায়িত্ব হচ্ছে শিশুদের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করা। শৈশব থেকেই শিশুদের সঠিক ভাবে গড়ে না তুলতে পারলে ওরা বড় হয়ে সমাজের জন্য ভাল কিছু বয়ে আনতে পারবে না। কারণ শৈশবে সে যা শিখবে সারা জীবন তার উপর সেই প্রভাবই বিরাজ করবে।
আজ আমরা জানবো ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের যে বিষয়গুলো শিক্ষা দেওয়া প্রতিটি পিতা-মাতা এবং নিকটতম ব্যক্তিদের অত্যন্ত জরুরী
১। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ না করাঃ
শিশুরা সর্বদা সেই কাজটিই করতে ভালবাসে যা তার কাছে আনন্দদায়ক। তাই তাদেরকে ইচ্ছার বাইরে কোন কাজ করতে বাধ্য করবেন না। যদি বিষয়টা এমন হয় যে, সে হয়ত কোন একটি ভাল কাজ করতে চাচ্ছে না বা কোন একটি খারাপ কাজ করে আনন্দ পাচ্ছে, তাহলে আপনি তাকে ভাল করে সেই কাজের সুফলতা বা কুফলতার বিষয়গুলো বোঝাতে চেষ্টা করুন।
২। সকলকে ভাল চোখে দেখাঃ
এই শিক্ষাটা আপনার সন্তানের জীবনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই শিশুকাল থেকেই তাকে শিক্ষা দিন ধনী-গরীব, ছোট বড় সবাইকে ভাল চোখে দেখা। সর্বদা সবার সাথে ভাল ব্যবহার করা এবং কারোর সাথে বৈষম্য আচরণ না করা।
৩। ভূল থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হয়ঃ
তাকে শিক্ষা দিন ভুল করা কোন অপরাধ নই। তবে সেই ভুল থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হবে এবং ভুল করার কারণগুলো কিভাবে খুজে বের করে তা পরিহার করতে হয় সেই বিষয়েও শিক্ষা দিতে পারেন।
৪। পরিবেশকে ভালবাসতে হয়ঃ
আপনার সন্তানকে শিক্ষা দিন কিভাবে তার চারপাশের পরিবেশকে ভালবাসতে হয়। পরিবেশ নোংরা বা দূষিত হয়ে থাকলে তার ব্যক্তিজীবনের উপর পরিবেশ কতটা প্রভাব ফেলবে সেই বিষয়ে শিক্ষা দিন। এবং কিভাবে পরিবেশকে উন্নত করা যায় সেই বিষয়েও পরামর্শ দিতে পারেন।
৫। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস সৃষ্টিঃ
জীবনে চলার পথে তাকে অনেক পদক্ষেপে পরাজয় বরণ করতে হতে পারে, তাই বলে আত্মবিশ্বাস হারানো যাবে না। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকলে সে একদিন ওই পরাজিত বিষয়টি জয় করতে পারবে, এই শিক্ষায় তাকে দীক্ষিত করুন। তাকে সর্বদা উৎসাহ দিন এবং নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।
৬। বাবা-মা কখনই তার খারাপ চাই নাঃ
তাকে শিক্ষা দিন বাবা-মা কখনই তার শত্রু না। তারা সর্বদা তার ভাল কামনা করে। তাই বাবা-মাকে সম্মান করা এবং তাদের কথা শুনলে জীবনে অনেক বড় হওয়া যাবে সেই বিষয়ে বোঝানোর চেষ্টা করুন। বিপদে আপদে সে সর্বদা বাবা-মাকে পাশে পাবে এবং বাবা-মায়ের মত এই পৃথিবীতে আর কেউ এত আপনজন নেই।
৭। অজানাকে জানতে প্রশ্ন করাঃ
শিশুরা অনেক কিছুই জানে না আবার অনেক শিশু জিজ্ঞাসা করার সাহসও পায় না। তাই অজানাকে জানতে কিভাবে বড়দের প্রশ্ন করতে হয় সেই বিষয়ে শিক্ষা দিন এবং জানার আগ্রহ সৃষ্টি করতে সাহায্য করুন।
৮। তার সমস্যাগুলো নির্ভয়ে প্রকাশ করাঃ
তাকে শিক্ষা দিন কিভাবে নিজের সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে হয়। কারণ শিশুরা নিজেদের সমস্যাগুলো প্রকাশ করার ভাষা পায় না। তাই কি সমস্যা হলে কিভাবে সেটা প্রকাশ করতে হয় তা শিক্ষা দিন।
৯। সৃষ্টিকর্তা এবং দীন সম্পর্কে জ্ঞানঃ
তাদেরকে শৈশব থেকেই আল্লাহ, তার রাসুল, কোরআন এবং দীন সম্পর্কে শিক্ষা দিন। ভাল এবং খারাপ কাজের ফলাফল কেমন হবে তা বুঝিয়ে বলতে পারেন। কেন আল্লাহর ইবাদত করতে হবে এবং কিভাবে জীবন পরিচালনা করতে হবে সেই শিক্ষায় দীক্ষিত করে তুলুন।