দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের মধ্যে নানা ধরণের পরিবর্তন দেখা যায়। শিশুকালে কারোর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে যেখানে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগতো কিন্তু প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়ার পর সেটা সম্ভব হয় না। তাই প্রাপ্ত বয়ষ্করা নানাভাবে একাকিত্বে ভোগে।
আপনিও যদি এমন বন্ধুত্বহীনতায় ভোগেন, তবে নিচের টিপসগুলো চর্চা করে বানিয়ে ফেলুন আপনার প্রয়োজনীয় বন্ধু এবং দূর করুন একাকিত্ব।
১। প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করুনঃ
গ্রামের মানুষজন প্রতিবেশীদের সাথে যতটা যোগাযোগ রাখে শহরের মানুষ সেই তুলনায় প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ রাখে না। মূলত প্রতিবেশীদের সাথেই ভাল বন্ধুত্ব গড়ে তোলা সম্ভব। তাই আজ থেকে আপনার প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করুন। দেখবেন দ্রুতই আপনি তাদের সাথে ভাল বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারবেন।
২। ক্লাব বা সংগঠনে যোগ দিনঃ
প্রায় প্রতিটি এলাকায়ই কোন না কোন সংগঠন রয়েছে। সেটি হতে পারে খেলাধুলা, সমাজ কল্যাণমূলক ইত্যাদি। এই সব ক্লাবে নানা ধরণের মানুষের আনাগোনা হয়। সেই সাথে ক্লাবের সবাই মিলে নানা কাজ করায় সবার মধ্যে আন্তরিকতা এবং বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়। তাই এখানে যোগদানের মাধ্যমে আপনি আপনার মনের মত কোন বন্ধু বানাতে পারবেন।
৩। নিজেকে স্বাচ্ছাসেবক হিসেবে গড়ে তুলুনঃ
সমাজের নানা ধরণের কাজে স্বেচ্ছায় নিজেকে নিযুক্ত করুন। দেখবেন অন্যরা দ্রুতই আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং ভাল বন্ধুত্ব সৃষ্টি হবে। এই কাজের মাধ্যমে আপনি ভাল মানুষদের সাথে পরিচিত হতে পারবেন। কারণ স্বেচ্ছায় কোন কাজ কেবল ভাল মানুষই করতে পারে। তাই সমাজের নানা সমস্যা সমাধানে নিজেকে কাজে লাগান এবং বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।
৪। সঠিকভাবে হ্যাঁ এবং না শব্দের ব্যবহার করুনঃ
আমরা সাধারণত অনেকেই জানি না কোথায় সরাসরি হ্যাঁ বা না বলতে হয় আবার কোথায় এই হ্যাঁ বা না কে একটু ঘুরিয়ে বলতে হয়। এই সমস্যার কারণে অনেক সময় বিভিন্ন মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়। যেমন ধরুন আপনাকে কেউ তার বাসায় আমন্ত্রণ করলো অথচ এই সময় আপনি তার বাসায় যেতে ইচ্ছুক না, তাই সরাসরি না বলে দিলেন। এর ফলে আপনার প্রতি তার একটি বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হল। কিন্তু আপনি এই না কথাটাকে যদি একটু কৌশলে তাকে বুঝিয়ে বলতেন তাহলে আপনাদের মাঝে সম্পর্ক ঠিক থাকতো। সেই সাথে বন্ধুত্ব আরো মজবুত হত।
৫। যোগাযোগের মাধ্যম রাখুনঃ
অনেক সময় কোথাও এমন কোন মানুষের সাথে আপনার পরিচিত হল যার মনোভাব এবং আপনার মনোভাব প্রায় একই রকম। কিন্তু পরবর্তীতে তার সাথে দেখা হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। অথচ আপনি তাকে বন্ধু হিসেবে চাচ্ছেন। তাহলে আবার যেন দেখা হয় বা যেকোন উপায়ে যোগাযোগ রাখা যায় তার একটি মাধ্যম বজায় রাখুন। যেমন হতে পারে তার ফোন বা মেইল নাম্বার রাখতে পারেন। অথবা কোথায় গেলে তার সাথে সাক্ষাৎ হতে পারে তার একটি ঠিকানা রাখতে পারেন।
৬। সহকর্মীদের কাজে সাহায্য করুনঃ
আপনার কর্ম ক্ষেত্রে সহকর্মীদের নানা কাজে সাহায্য করতে পারেন। এতে তাদের সাথে আপনার ভাল বন্ধুত্ব সৃষ্টি হবে। সাধারণত সহকর্মীরাই আপনার খুব ভাল বন্ধু হতে পারে। তাই তাদের সাথে আন্তরিকতা বজায় রাখুন। দ্রুতই খুব ভাল বন্ধু পেয়ে যাবেন।
৭। হাসিখুশি থাকুনঃ
গোমরামুখো মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। যারা সর্বদা হাসিখুশি থাকে তাদের সবাই পছন্দ করে। কেবল খোলা মনের মানুষরাই এমন হাসিখুশি থাকে। আর এমন মানুষের সাথে সবাই বন্ধুত্ব করতে পছন্দ করে। তাই আজ থেকে নিজেকে খোলা মনের হাসিখুশি মানুষ হয়ে যান। দেখবেন দ্রুতই আপনার একাধিক বন্ধু হয়ে যাবে।