দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। যে মানুষের জন্য এই পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে সেই মানুষই আবার এই পরিবেশ ধ্বংস করছে। আমরা এমন কিছু ছোট খাটো কাজ করি যা পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেটা হতে পারে আমাদের বিচরণ, খাদ্যাভাস, আবাস স্থল ইত্যাদির মাধ্যমে। আজ আমরা আলোচনা করব খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে কিভাবে পরিবেশ টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশ্বে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয় তার এক চতুর্থাংশের জন্য দায়ী আমাদের খাদ্য। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পেছনে আমাদের খাদ্য উৎপাদন এবং আহরণ ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
১। বেশিভাগ মানুষ একই রকম মাছ খেতে বেশি পছন্দ করে। ফলে সেই জাতীয় মাছের যোগান দিন দিন কমতে থাকে। যা পরিবেশের জন্য ব্যাপক হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। এর থেকে সপ্তাহে যে দিনগুলো আপনি মাছ খেতে পছন্দ করেন, সেই দিন ভিন্ন ভিন্ন মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাহলে এক রকমের মাছের উপর বেশি চাপ পরবে না। ফলে পরিবেশের উপর মাছের যে অবদান তা বজায় থাকবে।
২। মাংস একটি অতি সুস্বাদু খাবার। তবে অনেকেই শুধু এক ধরণের মাংস খেতে পছন্দ করেন। যেমন কেউ শুধু মুরগির মাংস, কেউ খাসির মাংস আবার কেউ গরুর মাংস খেতে বেশি পছন্দ করেন। আজ থেকে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। যদি কোন সমস্যা না থাকে তবে ভিন্ন ভিন্ন মাংস খেতে আরম্ভ করুন। এতে গরু, ছাগল এবং মুরগি জাতীয় প্রাণি পরিবেশের উপর তাদের প্রভাব স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হবে। অন্যথায় ধীরে ধীরে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে।
৩। ধুমপান একটি মারাত্মক সমস্যা হওয়া সত্বেও আমাদের দেশে এটি বৈধ। প্রতি বছর আমরা প্রচুর পরিমাণে ধুমপান করে থাকি। যার ফলে পরিবেশ দূষণ সহ আর্থিক ভাবেও আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। অথচ এই ধুমপান যদি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়, তবে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও আমরা উপকৃত হব।
৪। আমরা শাক-সবজি হিসেবে বেশ কিছু সবজি বেশি গ্রহণ করি। অথচ এমন কিছু সবজি রয়েছে যা সকলে খায় না। ফলে সেই সকল সবজির আবাদ কমে যাচ্ছে। একটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সকল ধরণের সবজির চাষ করা উচিৎ। কারণ একই জমিতে একই রকম সবজি বার বার চাষ করাতে সেই জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের খাদ্যাভাসে সকল ধরণের সবজি রাখতে হবে। এর ফলে সকল সবজির চাহিদা বাড়বে এবং তার চাষ বৃদ্ধি পাবে। যার ফল স্বরুপ পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।