দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর মধ্যে বিদ্যুৎ অন্যতম। তাই বিদ্যুৎ শক্তির এই বিশাল চাহিদা পুরণ করতে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ তৈরির নানা কৌশল আবিষ্কার করেছে। তবুও যেন চাহিদার অপূর্ণতা রয়েই গেছে। এই চাহিদা পুরণ করতে এবার ভারতের বিজ্ঞানীরা বিদ্যুৎ তৈরির আরো একটি নতুন উৎস যোগ করতে যাচ্ছে।
ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল বিজ্ঞানীর গবেষণায় উঠে এসেছে কাঁকড়ার খোল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায়, অধ্যাপক সুখেন দাস, রিসার্ট স্কলার, নুর আমিনসহ আটজন বিশিষ্ট একটি গবেষণা দল অনেক গবেষণা করে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাঁকড়ার খোল থেকে সংগ্রহ করা হয় এক ধরনের উপাদান, যার নাম চিটিন ন্যানোফাইবার (সিএনএফ)। কাঁকড়ার খোল থেকে একটি বিশেষ যান্ত্রিক প্রোটিন এবং মিনারেল বাদ দিয়ে এই সিএনএফ সংগ্রহ করা হয়। সিএনএফের ওপর নির্ভর করে তৈরি করা সম্ভব পিজোইলেকট্রিক ন্যানোজেনারেটর (পিইএনজি), যা হাঁটাচলা, কথা বলা, নাড়ির স্পন্দন, গাড়ির চলন এবং আঙুল চালানোর মতো সাধারণ কাজের মধ্য দিয়েই বৈদ্যুতিক শক্তি তৈরি করতে পারে।
বর্তমান সময়ে যে পিইএনজি রয়েছে, তা পরিবেশবান্ধব নয়। এটি পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টিতে সাহায্য করে। এছাড়া এই পিইএনজি তৈরি করতেও অনেক খরচ হয়। তাই পেসমেকারের মতো স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রে এ ধরনের পিইএনজি ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। কিন্তু গবেষকরা দাবি করছেন, কাঁকড়ার খোল থেকে সংগৃহীত উপাদান সিএনএফ পরিবেশবান্ধব, বিষক্রিয়া মুক্ত এবং পরিবেশের সঙ্গে সহজে মিশে যায়। এটি পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কিন্তু শক্তিশালী, নতুন করে ব্যবহারযোগ্য ও টেকসই একটি উপাদান। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই আবিষ্কার আধুনিক বিশ্বকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।