দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাভার রানা প্লাজা ধসের ১৭ দিন পর জীবিত উদ্ধার হওয়া বহুল আলোচিত রেশমা এখন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের কশীগাড়ীর জীর্ণ কুটিরে। কিন্তু তাকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধুম্রজাল।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ২০ জুন একটি পাজেরো জিপে করে বাড়িতে পৌঁছান রেশমা। সঙ্গে তার বর্তমান কর্মক্ষেত্র হোটেল ওয়েস্টিন এর এক কর্মকর্তাসহ দুই সফর সঙ্গী ছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না এলাকাবাসী। পারলেন না কথা বলতেও। অসুস্থতার অজুহাতে আড়ালেই রাখা হলো তাকে।
জানা গেছে, সকালে খবর পেয়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকসুদা বেগম সিদ্দিকা ও থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেন এক ভ্যান পুলিশ নিয়ে রেশমার বাড়িতে ছুটে যান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাফ জানিয়ে দেন কোন মিডিয়া রেশমার সাক্ষাৎকার নিতে পারবে না। এমনকি মিডিয়ার লোক তার সঙ্গে (রেশমা) একটি কথাও বলতে পারবে না। শুধুমাত্র ছবি নিতে পারবে। তিনি পরিবারের ভাই, বোন, মা’সহ অন্যদের সতর্ক করে দিলেন কোন সাংবাদিককে যেন রেশমার সঙ্গে কথা বলতে দেয়া না হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি রেশমার শারীরিক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রেশমাকে দেখে একেবারে সুস্থ্য বলে মনে হয়েছে। রেশমার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসনকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখা গেছে। যে কারণে হোটেল ওয়েস্টিনের কর্মকর্তাদেরকে শুক্রবার বিকালের মধ্যেই রেশমাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বার বার চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। অথচ রেশমা আরও ৫/৬দিন তার জন্মস্থানে থাকতে চান। তাকে জোর করে ঢাকায় পাঠাতে চাইলে এক সময় তিনি কেঁদে ফেলেন। রেশমার বাড়ি ফেরার খবর প্রকাশ হলে দলে দলে লোকজন তার বাড়ির দিকে যেতে থাকেন এক নজর দেখার জন্য। অসুস্থতার কথা বলে মিডিয়া থেকে কেন তাকে দূরে রাখা হচ্ছে এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা গুঞ্জন।
রেশমার ১৭ দিন ধরে আটকে থাকার অভিজ্ঞতা শুনতেই উৎসুক জনতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে ফিরে যান তারা। অনেকে প্রশ্ন তোলেন প্রশাসন কেনো এতো রাখঢাক করছেন? তাদের কি স্বার্থ? এমন নানা প্রশ্ন এখন জনমনে।