দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই বিজ্ঞান দিনকে দিন এগিয়ে চলেছে। এবার বাতাসেই নাকি চলবে গাড়ি। অর্থাৎ কোনো জ্বালানির প্রয়োজন পড়বে না! নতুন এই আবিষ্কার করেছেন মিসরের হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের একদল শিক্ষার্থী।
নতুন এই আবিষ্কার করেছেন মিসরের হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের একদল শিক্ষার্থী। তারা বলেছেন, বাতাসেই চলবে এমন গাড়ি তারা তৈরি করেছে। এই গাড়ি চলে সিলিন্ডারে অধিক চাপে জমা রাখা অক্সিজেন দিয়ে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই গাড়ি খুব বেশি উঁচুও নয়। ইঞ্জিনটি সামনে নয়, রয়েছে এর পেছনে। আপাতত বসতে পারেন শুধুমাত্র চালক নিজে। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, গাড়িটি চালাতে প্রয়োজন হয় না পেট্রল-ডিজেল বা রকম বিদ্যুৎ। স্রেফ হাওয়াতেই চলে এই গাড়ি!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মিসরের হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের একদল শিক্ষার্থী এই নতুন গাড়িটি তৈরি করেছেন। বর্তমানে শুধু চালকের বসার আসন রেখেই গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে। এটি চলে সিলিন্ডারে অধিক চাপে জমা রাখা অক্সিজেনের মাধ্যমে। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে গাড়িটি চলতে সক্ষম।
খবরে জানা যায়, মিশরের কায়রো শহর হতে একটু দূরেই হেলওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। মিসর সরকার বর্তমানে অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে। আর এই সংস্কারের মধ্যে জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। ২০১৬ সালের শেষের দিকে ইএ কর্মসূচি গ্রহণ করেক দেশটির সরকার। এর মেয়াদ ৩ বছর।
গাড়ির নকশা প্রণয়ন করা শিক্ষার্থীরা বলেছেন যে, সিলিন্ডারে নতুন করে অক্সিজেন ভরার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত গাড়িটি টানা ৩০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারবে। গাড়িটি তৈরিতে খরচ হবে প্রায় এক হাজার ডলার। বাংলাদেশী টাকায় খরচ দাঁড়াবে ৮০ হাজার টাকার সামান্য কিছু বেশি।
গাড়িটি তৈরির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের একজন মাহমুদ ইয়াসির সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘গাড়িটি তৈরির খরচ প্রায় নেই বললেই চলে। উচ্চ চাপে সংকুচিত করা বাতাস এটিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সুতরাং জ্বালানি বাবদ কোনো রকম খরচই হবে না। আবার ইঞ্জিন ঠাণ্ডা করারও প্রয়োজন হবে না।’
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের এই দল বড় পরিসরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশি সংখ্যক যান তৈরি করতে চাইছে এই শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে তারা চেষ্টা করছেন কিভাবে গাড়ির গতি ও পাল্লা আরও বাড়ানো যায়।