দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোরবানীর ঈদ এলেই গরুর দাম নিয়ে শুরু হয় নানা ধরনের কাহিনী। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই বাজারে দামি দামি গরু ওঠা শুরু হয়েছে। এবার ‘রাজাবাবু’ নামে এক গরুর দাম হাকা হয়েছে ২০ লাখ!
‘রাজা বাবুর’র ওজন ২ হাজার ৫৪ কেজি। তবে এই রাজাবাবু কোনও মানুষ নয়। দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করা বিশালাকৃতির একটি বিদেশী গরু। এই গরু পালন করে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের কৃষক খান্নু মিয়া। প্রতিদিন জেলার সবচেয়ে বড় এই গরুটি দেখতে দূর-দূরান্ত হতে ছুটে আসছেন বহু মানুষ। এবার ৫২ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম হাকা হয়েছে ২০ লাখ টাকা!
জানা গেছে, ৬ মেয়ের জনক খান্নু মিয়ার থাকার ঘর বলতে মাত্র একটি টিনের চারচালা ঘর। বারান্দা আকৃতির করে তোলা হয়েছে আরেকটি ছাপড়া ঘর। এর নিচেই তিনি লালন-পালন করেন গরুটি। এক সময় শুধু দুধের গাভি পালন করতেন। তবে কয়েক বছর ধরেই কোরবানি উপলক্ষে গরু মোটাতাজা করেন তিনি। গরু লালন-পালনই এখন তার মূল পেশায় পরিণত হয়েছে।
আজ নয়, ৩ বছর আগে হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা-কালো রঙের একটি ষাড় কিনেছিলেন কৃষক খান্নু মিয়া। তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ইতি আক্তার এই ষাড়টির নাম রেখেছিল `রাজাবাবু`। পরম যত্নে ইতি ও তা মা-বোনেরা মিলে লালন-পালন করেন এই ষাড়টি। রাজাবাবু শুধু নামে নয়, তার খাবার-দাবারও সাধারণ পশুর চেয়ে একেবারেই আলাদা বলে জানান ইতি আক্তার।
রাজাবাবু সম্পর্কে ইতি জানিয়েছেন, খড়, ভূষি ছাড়াও তাকে খাওয়ানো হয় আপেল, কমলা, মাল্টা, কলা, মিষ্টি লাউ, চিড়া, গুড়সহ নানা ধরনের খাবার। খাওয়া বাবদ প্রতিদিন তার পেছনে খরচ হয় দেড় হতে ২ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, রাজাবাবু আবার নাকি গরম সহ্য করতে পারেন না। যেখানে তাকে রাখা হয় সেখানে ৩টি ফ্যান চলে সব সময়। তাই কোরবানির সময় ভালো দাম পেলেই তাদের পরিশ্রম স্বার্থক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৩ দাঁতের রাজাবাবুর বয়স বর্তমানে ৩ বছর ১০ মাস। উচ্চতা ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। লম্বায় ৮ ফুটের মতো। বুকের ব্যাড় ১২ ফুট হবে। মুখের চওড়া প্রায় ৩২ ফুট ৩ ইঞ্চি। গলার ব্যাড় ৫ ফুট এবং শিং ১ ফুট লম্বা। রাজাবাবুকে কিনতে আগ্রহী ক্রেতারা ০১৭৮৪-৮৬৪১৬১ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। আবার ক্রেতা চাইলে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত গরুটি তারা লালন-পালন করে দিতেও আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।