দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তিনি দীর্ঘদিন সঙ্গীত থেকে দূরে ছিলেন। তিনি হলেন সঞ্চালক, সাংবাদিক এবং সংগীতশিল্পী নবনীতা চৌধুরী। এবার এলো তার নতুন অ্যালবাম ‘আহারে সোনালি বন্ধু’।
দীর্ঘদি নবনীতা চৌধুরীর কোনো নতুন অ্যালবাম আসেনি। । অ্যালবামটির টাইটেল ট্র্যাক হাসন রাজার বিখ্যাত গান ‘আহারে সোনালি বন্ধু’। যা ইতিমধ্যে প্রকাশও পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময় জনপ্রিয় রাজনৈতিক টক শো রাজকাহন-এর সঞ্চালক এবং সাংবাদিক হিসেবে অধিক পরিচিতি থাকলেও একজন পুরোদস্তুর সংগীতশিল্পী হলেন নবনীতা চৌধুরী। রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের ছাত্রী হলেন নবনীতা চৌধুরী। কৈশোর থেকেই লালন ও লোকগানের চর্চা শুরু করেন নবনীতা। জীবনসঙ্গী লাবিক কামাল গৌরবের সঙ্গেই গানে জুটি বেঁধেছেন নবনীতা।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ২০০৭ সালে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীতায়োজনে তার প্রথম অ্যালবাম ‘আমি যন্ত্র, তুমি যন্ত্রী’ প্রকাশিত হয়। এবার আজব ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল গৌরবের সংগীতায়োজনে নতুন অ্যালবাম নিয়ে হাজির হতে চলেছেন নবনীতা চৌধুরী। খুব শীঘ্রই জি সিরিজের ব্যানারে অ্যালবামটি প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে।
নতুন অ্যালবাম প্রসঙ্গে নবনীতা চৌধুরী বলেছেন, ‘লন্ডনে প্রবাসী সিলেটিদের আয়োজনে লোকগানের শিল্পীদের নানা আসরে গিয়ে সিলেটি গানের প্রতি ভালোবাসার সূচনা। সিলেটি গানের প্রেম, সরলতা, সুরের গভীরতা, লয়ের দোলা বুকের ভেতর এক অন্য রকম হাহাকার তৈরি করে। আর তখন থেকেই হাসনরাজা, রাধারমনসহ সিলেটের নানা লোক কবিদের গাওয়া একটু কম চর্চিত ও অশ্রুত গান গলায় তুলে গাইতে শুরু করি। সেসব গান গৌরবের সঙ্গে তার গিটার -দোতারায় তুলে মঞ্চে একসঙ্গে বাজাতে ও স্টুডিওতে রেকর্ড করা শুরু করি আমরা।’
অ্যালবামের টাইটেল ট্র্যাক প্রকাশ করা নিয়ে নবনীতা বলেন, ‘জি সিরিজের প্রযোজনায় খালেদ ভাইয়ের উৎসাহে এই ঈদে ‘আহারে সোনালি বন্ধু’ গানটি প্রকাশ করার কারণটি আসলে দর্শক-শ্রোতারা কীভাবে গ্রহণ করেন তা বোঝার প্রয়াস এটি। এখন শুধু গান ছাড়লেই হয়না, ইন্টারনেটে সেটা দর্শক-শ্রোতার কাছে কীভাবে পৌঁছাবে, সেটিও একটি বিষয়। বর্তমানে ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ক্লিক করলেই শোনার ব্যবস্থা না করলেই নয়।’
নবনীতা আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মতো গৌরবের সংগীতায়োজনে ভিডিওসহ গান লঞ্চ করলাম, এতে দারুণ সাড়াও পেয়েছি। এখনও ইউটিউব বা এরকম ফ্রি প্লাটফর্মগুলোয় গানটি নেই, জিপির ফেসবুক প্লাটফর্মে এক্সক্লুসিভলি রয়েছে, তাতেই দেড় লাখের বেশি মানুষ গানটি দেখেছেন ১২ দিন সময়ের মধ্যেই। অর্থাৎ এখনও কাওকে জানিয়েও দেওয়া হয়নি ভালো করে, তাতেই মানুষ এতো পছন্দ করছেন ৫৫০ এর বেশি মানুষ শেয়ার করেছেন, আমরা মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি।’