দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিনের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য মস্তিষ্ককে স্বাভাবিক রাখতে হয়। আর মস্তিষ্ককে স্বাভাবিক রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানো স্বাস্থের জন্য উপকার। তবে নানা কারণে আমরা অনেক দেরিতে ঘুমাতে যাই। কিন্তু ঘুমানোর জন্য বিছানায় গিয়েও সহজে ঘুম আসে না। ফলে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় পরবর্তী দিন স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। আজ আমরা জানবো কিভাবে দ্রুত ঘুমানো যায়।
১। ঘুমানোর সময় নির্ধারণ করুনঃ
দ্রুত ঘুমানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে আপনি দ্রুত ঘুমাতে পারবেন। এভাবে নিয়ম মেনে ঘুমালে ভাল ঘুম হবে সেই সাথে স্বাস্থ ঠিক থাকবে।
২। ঘুমানোর আগে টিভি বন্ধ করুনঃ
অনেকেই বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে শুয়ে শুয়ে টিভি দেখেন। এর ফলে সময় মত ঘুমাতে পারেন না। এমনকি টিভিতে ওই সময় কোন আকর্ষনীয় কিছু দেখলে সহজে আর ঘুম আসবে না। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে টিভি বন্ধ করুন।
৩। ঘুম থেকে উঠার জন্য অ্যালার্ম সেট করুনঃ
আগামীকাল সকালে হয়ত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। তাই সময় মত ঘুম থেকে না উঠলে ঝামেলাই পরতে পারেন। সময় মত ঘুম ভাঙবে কিনা সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুমাতে গেলে সহজে ঘুম আসবে না। আবার ঘুম আসলেও মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙ্গে যাবে। তাই দ্রুত এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে, নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্ম বাজলেই ঘুম থেকে উঠবেন। সুতরাং আপনি চিন্তামুক্ত হওয়ায় দ্রুত ঘুমিয়ে যেতে পারবেন এবং রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিবে না।
৪। হালকা করে শ্বাস নিতে থাকুনঃ
বিছানায় শয়ন করে হালকা করে শ্বাস নিতে থাকুন। হালকা করে শ্বাস নিলে আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। সুতরাং আস্তে আস্তে শ্বাস নিলে খুব তারাতারি আপনি ঘুমিয়ে পড়বেন।
৫। হালকা মিউজিকের গান শুনতে পারেনঃ
ঘুমানোর জন্য বিছানায় শুয়ে হালকা মিউজিকের গান শুনলে দ্রুত আপনার চোখে ঘুম নেমে আসবে। তবে বেশি জোরে সাউন্ড দিলে ঘুম আসতে সমস্যা হতে পারে।
৬। ঘুমানোর আগে ফোন কিছুটা দুরে রাখুনঃ
ঘুমানোর আগে অবশ্যই ফোন দুরে রাখবেন। সেই সাথে অন্যদের জানিয়ে রাখবেন যেন তারা যেন খুব জরুরী ছাড়া রাতে আপনাকে ফোন বা মেইল না করে। কারণ ঘুমানোর আগে ফোনে কথা বললে বা মেইল চেক করলে সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা সৃষ্টি হতে পারে যা আপনার ঘুমানোতে সমস্যা সৃষ্টি করবে।
৭। আগামী দিনের কাজের পরিকল্পনা নোট করুনঃ
আগামী দিন কখন কী করবেন তা নোট করে রাখুন। তাহলে আগামী দিনের কাজের জন্য আপনাকে বার বার ভাবতে হবে না। এর ফলে আপনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন।