দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মায়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ হলেন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ২২ বছরের শাসনামলে দ্রুত উন্নয়ন ঘটে দেশটিতে। তিনি বলেছেন, ‘এখন আমার মরে যাওয়াই উচিত’।
আমরা সবাই জানি বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী হলেন মায়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ। তাঁর বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও সম্প্রতি আবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার, তাঁর ২২ বছরের শাসনামলে দ্রুত উন্নয়ন ঘটে দেশটিতে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর আবার দেশটির কান্ডারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও দেশ পরিচালনায় তিনি এখনও যেনো শিরদাড়া খাঁড়া করে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শেষ ইচ্ছা হলো, চীনের কাছ থেকে নেওয়া দেশটির বৃহৎ ঋণের বোঝা কমানো।
গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে তিনি কৌতুক করে বলেছেন, ‘আমার এখন মারা যাওয়া উচিত। অথচ তারপরও এখনই আমাকে বেশি কাজ করতে হচ্ছে। এটি একটি বিরক্তিকর ব্যাপার, সত্যি…।’
গত মে মাসের নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন মাহাথির মোহাম্মদ। এরপর হতেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান তিনি। ইতিমধ্যে জাতীয় ঋণের বোঝা কমাতে চীনের ব্যয়ে মেগা প্রকল্প বাতিল করেছেন মাহাথির।
মালয়েশিয়া সরকারের নেওয়া আগের ২৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধকে প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন মাহাথির মোহাম্মদ। সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবার আমি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলাম সে সময়ের চেয়েও এই বুড়ো বয়সে আমাকে আরও বেশি কাজ করতে হবে। কারণ হলো দেশের পুরো কাঠামোই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এটি সত্যিই বিরক্তিকর। আসলে এখন আমার মারা যাওয়াই উচিত।’
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ২২ বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থেকে মাহাথির মোহাম্মদ দেশটিকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যান। তিনি আগের বার ক্ষমতায় থাকতে বহু উন্নতি করেছেন দেশটির। তিনি দেশটির অর্থনীতি যেভাবে চাঙ্গা করেছেন তা অন্যকারও পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি অবসর নেওয়ার জন্যই নির্বাচন না করে সরে আসেন। কিন্তু দেশটির হালত দেখে শেষ পর্যন্ত গত নির্বাচনে তিনি আবারও প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়েই দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়েন। আবার এই বসয়ে এসেও দেশ গড়ার কাজে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। আর তাইতো তিনি হাস্যরস করেই বলেছেন, ‘এখন আমার মরে যাওয়াই উচিত’।