দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথায় আছে আজকের শিশু আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। একটি শিশু পৃথিবীতে জন্ম লাভ করায় সবার কাছে যেমন আনন্দের মধ্যমণি হয়ে দাড়ায়, ঠিক তেমনি তার অসুস্থতা সবার মনে সর্বদা আতঙ্ক সৃষ্টি করে রাখে। কারণ নবজাতক শিশু তো আর বলতে পারে না তার কি সমস্যা হচ্ছে।
তবে অন্যদের চেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকতে হয় সেই নবজাতকের পিতা-মাতার। তার উপর প্রথম সন্তান হলে কিভাবে শিশুর যত্ন নিতে হয় সেই জ্ঞানের আরো ঘাটতি থাকে। আজ আমরা জানবো নবজাতক শিশুর যত্ন কিভাবে নেবেন অর্থাৎ নবজাতকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
১। কিভাবে বাচ্চাকে কোলে নিচ্ছেনঃ
নবজাতক শিশু সবার মধ্যমনি হওয়ায় সবাই এসে তাকে কোলে নিতে চাই। তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেই কোলে নিক না কেন কোলে নেওয়ার সময় বাচ্চার ঘাড়ে সাপোর্ট থাকতে হবে। অর্থাৎ কোলে নেওয়ার সময় বাচ্চার মাথা যেন কোনভাবেই নিচের দিকে কাত না হয়ে যায়। কারণ এই সময় যদি ঘাড়ে সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয় তবে সারাজীবন ধরে তার রেশ থেকে যাবে।
২। ঘুম থেকে জাগানোঃ
গভীর ঘুমে আছোন্ন থাকা অবস্থায় কখনো শিশুকে জোড় করে ঘুম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করবেন না। এভাবে ঘুম থেকে জাগ্রত করলে শিশুর মস্তিষ্ক দারুনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
৩। বাচ্চার ঠোটে চুমু দেওয়াঃ
বাইরে থেকে এসে কখনো বাচ্চার ঠোটে চুমু দিবেন না। কারণ আপনার ঠোটে লেগে থাকা জীবাণু বাচ্চার ঠোটে লেগে যাবে যা এক সময় তার পেটে গিয়ে মারাত্বক ঝামেলা সৃষ্টি করবে। এই জীবাণু হয়ত আপনার তেমন ক্ষতি করতে পারবে না কিন্তু বাচ্চাদের সংবেদনশীল শরীরে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে।
৪। শিশুর কান্না থামাতেঃ
শিশুদের কান্না থামাতে কখনো ধমক দেওয়া বা কোন কিছু দেখিয়ে ভয় দেখানোর মত কোন আচরণ করবেন না। তাদের মমতা মাখানো স্পর্শে কান্না থামাতে চেষ্টা করুন। এখানে আপনাকে ব্যাপক ধৈর্য্যশীল হতে হবে।
৫। সময় মত গোসলঃ
শিশুদের ১১টা থেকে ১২ টার মধ্যেই গোসল করানো চেষ্টা করবেন। কারণ এই সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকে। বেশি গরম বা ঠান্ডা পানির পরিবর্তে স্বাভাবিক গরম পানি ব্যবহার করে গোসল করান।
৬। দুধ পানে সতর্কতাঃ
দুধ পানের সময় খেয়াল রাখবেন শিশু ঠিক মত স্তন চুষতে পারছে কি না। কারণ অনেক সময় ঠিক মত স্তনে মুখ না দিতে পারায় দুধ পান করতে শিশুদের অনেক কষ্ট হয়। ফলে তারা পর্যাপ্ত দুধ পান করতে পারে না।
৭। বড়দের প্রসাধনী ব্যবহারঃ
কখনো শিশুদের জন্য বড়দের প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। কারণ শিশুদের ত্বক অনেক নরম এবং সংবেদনশীল। তাই প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। বাজারে শিশুদের জন্য বিভিন্ন প্রসাধনী পাওয়া যায়। প্রয়োজনে সেইগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া আরো অনেক বিষয়ে শিশুদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।