দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি বোবা মানুষ কখনও কথা বলতে পারে না। এবার এর ব্যতিক্রমি ঘটনা হলো এখন থেকে ‘বোবা’ মানুষও কথা বলতে পারবে!
এতোদিন ধরে আমরা সবাই জেনে আসছি বোবা মানুষ কখনও কথা বলতে পারে না। এবার এর ব্যতিক্রমি ঘটনা হলো এখন থেকে ‘বোবা’ মানুষও কথা বলতে পারবে!
এই অসাধ্য ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ভারতীয় এক খুদে বিজ্ঞানী। মাত্র ১৬ বছর বয়সী এই ভারতীয় খুদে বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে বাক্যহীন মুখে কথা ফোটানো যাবে। ভারতের গুরগাঁওয়ের পানিপথের বাসিন্দা এই কিশোর বিজ্ঞানীর নাম আর্শ শাহ দিলবাগি। স্কুলে পড়াশোনা ও খেলাধুলার ফাঁকেই চলে তার বিজ্ঞান চর্চা। পানিপথের ডিএভি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী।
এবার ভারতের এই খুদে বিজ্ঞানী এমন একটি যন্ত্র আবিষ্কার করলো, যাদ্বারা মুখণ্ডল ও গলায় পক্ষাঘাতের কারণে বাকশক্তি হারানো ব্যক্তিরা খুব সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন। তাও স্রেফ স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্যেই। আর্শ তার আবিষ্কৃত এই যন্ত্রটির নাম দিয়েছে ‘টক’।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, আর্শের আবিষ্কৃত এই ডিভাইসের দাম রাখা হয়েছে মাত্র ৮০ মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৫ হাজার টাকার মতো।
এই খুদে বিজ্ঞানীর দাবি হলো, বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী ৯টি পৃথক পৃথক স্বরে কথা বলা যাবে ‘টক’-এর মাধ্যমে। ইংরেজি ছাড়াও কথা বলা যাবে অন্য ভাষাতেও।
এই খুদে বিজ্ঞানী আর্শ আরও জানিয়েছে, ‘টক’ নামক এই যন্ত্রটিতে থাকছে একটি সেন্সর। লকড-ইন-সিনড্রোম আক্রান্ত মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করতে চাইলেই, তার শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে সিগন্যাল পড়ে নেবে ওই সেন্সরটি। তারপর ওই সিগন্যাল কথায় রূপান্তরিত হবে।
তারপর একটি মাইক্রোফোনের সাহায্যে সেই কথা শোনা যাবে। যে কারণে মনের ভাব প্রকাশ করতে বাকশক্তি হারানো ব্যক্তিকে কোনো রকম কসরতই করতে হবে না এখন থেকে। স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিলেই চলবে। এই আবিষ্কৃত যন্ত্র ‘টক’ ওই শ্বাস-প্রশ্বাসকে কথায় রূপান্তরিত করে দেবে।
মোটর নিউরো ডিজেবিলিটি’র কারণে বাকশক্তি হারানো ব্যক্তিরা মনের ভাব প্রকাশের জন্য সাধারণত যে অগমেন্টেটিভ অ্যান্ড অলটারনেটিভ কমিউনিকেশন (এএসি) ডিভাইস ব্যবহার করেন, সেগুলোর হতে ‘টক’ অনেক বেশি কার্যকরি যন্ত্র বলেই দাবি করেছেন এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আর্শ শাহ দিলবাগি।