দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ থাইল্যান্ড সরকার এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে গাঁজা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। আপাতত চিকিৎসার উদ্দেশ্যেই গাঁজা ব্যবহারের বৈধতা দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট।
সেই লক্ষ্যে থাইল্যান্ড সরকার মাদক আইনে পরিবর্তন আনারও অনুমোদন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়ামসহ মোট ১০টি দেশে এই পর্যন্ত গাঁজাকে বৈধতা দিয়েছে। এবার গাঁজাকে বৈধতা দেওয়ায় যোগ হলো থ্যাইল্যান্ডের নাম।
এবিসি’র এক খবরে বলা হয়, গতকাল (মঙ্গলবার) থ্যাইল্যান্ডের সংসদে ১৯৭৯ সালের মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত শারীরিক ব্যথা এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য গাঁজা সেবন করা ছিল দেশটির একটি প্রচলিত রীতি। পরে ১৯৩৫ সালে গাঁজা সেবন, পরিবহন বা বাজারজাতকরণ বিষয়ে আইনগতভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
উল্লেখ্য যে, উরুগুয়ে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে গাঁজা উৎপাদন, সেবন এবং বিক্রিকে বৈধ ঘোষণা করে। এ বছরের অক্টোবরে কানাডাতে বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে গাঁজা উৎপাদন, সেবন এবং বিক্রির বৈধতা দেওয়া হয়। পর্তুগাল ও নেদারল্যান্ডস গাঁজার ব্যবহার বৈধ না করলেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করে না দেশটি। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ আদালত ব্যক্তিগত স্থানে প্রাপ্তবয়স্কদের গাঁজা ব্যবহারকে বৈধ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি রাজ্যে বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ রয়েছে। এছাড়া আরও অনেক রাজ্যে চিকিৎসাজনিত ব্যবহার বৈধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।