দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী ক্যানসার প্রতিরোধক ‘লাল ভুট্টা’ উদ্ভাবন করলেন! তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৃতী সন্তান।
বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী ক্যানসার প্রতিরোধক ‘লাল ভুট্টা’ উদ্ভাবন করলেন! তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৃতী সন্তান।
সাধারণ ভুট্টার সঙ্গে জীনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন রং তৈরি করে এর জেনিটিক্যালি মডিফাইড করার পর ‘রঙিন ভুট্টা’ উদ্ভাবন করেছেন এই বাংলাদেশী জীন বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এই কৃতী সন্তান গত রবিবার এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য দিয়েছেন। ইতিপূর্বে হাফিজা-১, জালালিয়া, তানহা ও ডুম- এই চারটি জাতের ধানের উদ্ভাবন করেন এই কৃতি বিজ্ঞানী।
বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী বলেন, ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমাণ অনেক বেশি। ভুট্টায় ক্যারোটিন থাকার কারণে মূলত এর রং হলুদ হয়ে থাকে। তাই রঙিন ভুট্টার ক্লোন উদ্ভাবন করেছি আমি। এর তাৎপর্যের বিষয় হলো, এই ভুট্টাটি ক্যানসার প্রতিরোধক।
বিজ্ঞানী ড. আবেদ চৌধুরী বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজের অনুমতি পেয়েছেন। তিনি এই গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশে সচরাচর আবাদ হয়ে আসা ভুট্টার জীনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে রঙিন ভুট্টার প্রজাতি উদ্ভাবন করেন।
এই জীন বিজ্ঞানী আরও জানান, নব উদ্ভাবিত এই রঙিন ভুট্টা বছরে চারবার চাষ করা যাবে। আবার খরিপ-১ এবং খরিপ-২ মৌসুমেও ভুট্টা চাষ করা যাবে। আবর হাইব্রিড ভুট্টাও একটি পদ্ধতির মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে পারে। হাইব্রিডের সমান হবে বেরিয়ে আসা ভুট্টার ফলন। কৃষকদের এই ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি কুলাউড়া উপজেলার ভুট্টা চাষিসহ সফল কৃষকদের মধ্যে ভুট্টার বীজও বিতরণ করেছেন ইতিমধ্যেই।
ড.আবেদ চৌধুরী একজন জীন বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখক। আধুনিক জীববিজ্ঞান নিয়ে গবেষণায় প্রথম সারির গবেষকদের মধ্যে একজন অন্যতম তিনি। সেইসঙ্গে তিনি কবিতাও লেখেন। ড. আবেদ চৌধুরী ১৯৮৩ সালে পিএইচডি গবেষণাকালে রেকডি নামে জেনেটিক রিকম্বিনেশনের একটি জীন আবিষ্কার করেন। যা নিয়ে আশির দশকে আমেরিকা ও ইউরোপে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে।
বাংলাদেশের গর্ব এই বিজ্ঞানী-গবেষক অযৌন বীজ উৎপাদন (এফআইএস) সংক্রান্ত ৩টি নতুন জীন আবিষ্কার করেন, যার মাধ্যমে এই জীনবিশিষ্ট মিউটেন্ট নিষেক ছাড়াই আংশিক বীজ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। তার এই আবিষ্কার বিশ্বে অ্যাপোমিক্সিসের সূচনা করেছে, যার মাধ্যমে পিতৃবিহীন বীজ উৎপাদন করাও সম্ভব হয়।