দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাসতে নাকি জানেনা কেউ. কে বলেছে ভাই? এই শোন না কত হাসির. খবর বলে যাই। বর্তমানে ২৫ বছরের উপরের বয়সী প্রায় সবাই এই কবিতার সাথে পরিচিত। কবিতাটি ছিল নানা প্রাণির হাসি নিয়ে লেখা একটি মজার কবিতা।
হাসি এমন একটি জিনিস যা সবাই পছন্দ করে। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যে হাসি পছন্দ করে না। তবে কিছু সময় মানুষের মন খারাপ থাকতেই পারে। তাই তখন হয়ত হাসা সম্ভব হয় না। তবে মনে রাখবেন, মন ভাল করার জন্য হাসির বিকল্প নেই। একজন মানুষ যদি নিয়মিত মন খুলে হাসে, তাহলে সে নানা দিক থেকে উপকারিতা পাবে। আজ আমরা মন খুলে হাসার নানা উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
১। কষ্টকে দূর করেঃ
হাসির মাধ্যমে শরীরে এন্ডোরফিনস নামের একধরনের বিষনাশক হরমোনের উৎপন্ন হয়। সেই সাথে কর্টিসল নামের আরেকটি হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় যা মনে কষ্টের অনুভূতি জন্মাতে কাজ করে। ফলে মন খুলে হাসলে মনের কষ্ট দূর হয়ে যায়।
২। টি-সেলের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ
টি-সেল শরীর এবং মনকে শক্তিশালী করার জন্য ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। সেই সাথে রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। মন খুলে হাসার ফলে আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে টি- সেল উৎপন্ন হয়। ফলে মানসিক এবং শারীরিকভাবে আপনি শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।
৩। ফুসফুস সতেজ হয়ঃ
সাধারণত মন খুলে হাসার সময় ফুসফুস থেকে সম্পুর্ণ বাতাস বের হয়ে যায় আবার অক্সিজেনপূর্ণ বাতাসে ফুসফুস ভরে যায়। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন রক্তে সঞ্চালিত হয় যা আমাদের ফুসফুসকে সতেজ রাখে।
৪। রক্ত সঞ্চালন সহজ হয়ঃ
মন খুলে হাসার সময় রক্ত সারা শরীরে দ্রুত প্রবাহিত হয়। রক্ত নালীতে কোন জমাট বাধা সমস্যা থাকলে তা দ্রুত প্রবাহিত রক্তের কারণে স্বাভাবিক হয়ে যায়।
৫। মন প্রফুল্ল থাকেঃ
নিজেকে ফিট রাখতে হলে প্রথমেই মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। আর মন প্রফুল্ল রাখতে হলে মন খুলে হাসা অপরিহার্য। তাই প্রতিদিন মন খুলে হাসুন এবং নিজেকে ফিট রাখুন।
৬। অন্যতম ব্যায়ামঃ
হাসি হচ্ছে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজেকে ফিট রাখার অন্যতম ব্যায়াম। মন খুলে হাসলে ডায়াফ্রাম, পেটের ও রেসপিরেটরি মাংসপেশিসমূহ এবং মুখ, এমনকি পা কিংবা পিঠের মাংস পেশির চমৎকার ব্যায়াম হয়ে যায়।
সুতরাং নিজেকে সর্বদা ফিট রাখতে এবং সর্বদা সুস্থ থাকার জন্য আজ থেকেই মন খুলে হাসা শুরু করে দিন।