দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক বর্জন করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন প্রচারণা চালালেও উল্টো আরও আয় বেড়েছে ফেসবুকের। গত বছর ফেসবুকের বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ!
নানা কেলেঙ্কারি ছড়িয়ে পড়ার কারণে ফেসবুকে বিজ্ঞাপনদাতারা নিরুৎসাহিত হবেন- এমন আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন, এই সংস্থাটি বৃহৎ সামাজিক বিষয়গুলোতে জোর দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মৌলিক ধারায় বেশ পরিবর্তন এনেছে।
যে কারণে ক্ষতিকর কন্টেন্ট ছড়ানোতে ভূমিকা রাখা এবং তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা না করা সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির পরেও গতবছর ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয় এই সংস্থাটি জানিয়েছে, গত বছর মাসে অন্তত একবার লগ ইন করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে অন্তত ৯ শতাংশ।
গত বছরের জুলাইয়ের পর হতেই ফেসবুকের শেয়ারের মূল্য প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছিলো। সে সময়ই প্রতিষ্ঠানটির আয়ের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তখন আগের দুই বছরের মধ্যে ফেসবুকেরস বচেয়ে কম আয় ছিল।
কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা ৯ শতাংশ বেশি আয় করেছে এমন একটা বছরে আসার পর, যখন ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি ফাঁসের পর তাদের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়টি নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করে রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা। এই তথ্য ফাঁস হলে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়।
যার প্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ স্বীকার করেছিলেন যে তারা `ভুল করেছেন`। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ফেসবুক প্রধান।
তবে গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশে তাদের তথ্য ব্যবহার করার এই খবর রটে যাওয়ায়, ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলবও করা হয়।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এই বিষয়ে তাদের `ভুল হয়েছিল` স্বীকার করেন ও গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাবার এই ঘটনাটিকে `গ্রাহকদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ` করার সামিল বলেও ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে মন্তব্য করেছিলেন তিনি ।
বিবিসি’র এক তথ্যে বলা হয়, এরপরও ২০১৮ সালে ফেসবুকের মোট মুনাফা ছিল ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৭ সালের চেয়েও ৩৯ শতাংশ বেশি।
জানা গেছে, ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পেয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডায় ব্যবহারকারী সংখ্যা একইরকম ছিলো এই সময়।