দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজনই হলো শিশু। প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজার, অর্থাৎ প্রতি আধা সেকেন্ডে একজন শিশু নতুন করে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, বিশ্বে প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজনই হলো শিশু। প্রতিদিন ১ লাখ ৭৫ হাজার, অর্থাৎ প্রতি আধা সেকেন্ডে একজন শিশু নতুন করে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। আর এই ইন্টারনেটের যথেচ্ছা ব্যবহারের কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাড়িয়েছে নতুন প্রজন্ম।
তাছাড়া বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ২৫ শতাংশের বয়সই ১০ বছরেরও কম! ফেসবুকসহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার ৯০ শতাংশ ব্যবহারকারীর বয়সই ১৮ থেকে ২৯ এর মধ্যে। গড়ে এদের একেক জনের ২০১ জন করে ফেসবুক ফ্রেন্ড রয়েছে।
বর্তমানে ভার্চুয়াল ভাইরাসের সবচেয়ে বড় শিকার হলো শিশুরা। মার্কিন শিশু-কিশোরদের অটিজম, মনোযোগে হ্রাস, হতাশা এবং তীব্র বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে ভিডিও গেম আসক্তির সরাসরি সম্পর্কও বিদ্যমান।
স্ক্রিণ আসক্তির কারণে শিশুদের মধ্যে যে অটিজমের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এক ভার্চুয়াল অটিজম কিংবা ‘অটিজম স্পেকট্রাম ডিজ অর্ডার’ নামে এটিকে অভিহিত করেছেন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৯৭৫ সালে প্রতি ৫ হাজার মার্কিন শিশুর মধ্যে মাত্র একজন শিশুকে অটিস্টিক হিসেবে পাওয়া যেতো। ২০০৫ সালে সেটি হয় প্রতি ৫০০ জনেই একজন। অপরদিকে ২০১৬ সালে তা হয় মাত্র প্রতি ৪৫ জনের মধ্যে একজন!
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড-এর গবেষণা অনুযায়ী দেখা যায়, যেসব শিশু কম্পিউটার, টেলিভিশন এবং ভিডিও গেম নিয়ে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে থাকে তারা হয়ে পড়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এবং হীনম্মন্যতার শিকার। শিশুস্বাস্থ্য নিয়ে যাদের কাজ এমন একটি সংস্থা হলো আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস। তাদের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এই সংক্রান্ত ভয়াবহ বেশ কিছু তথ্য। যা দেখলে রীতিমতো ভীতি সঞ্চার করে। তাই শিশুদের এই নেট দুনিয়া হতে যতোখানি সম্ভব দূরে রাখতে হবে। পড়ালেখার পাশাপাশি তারা যাতে নেটের বাইরে অন্যান্য খেলাধুলায় মনোনিবেশ করে সেদিকে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে অভিভাবকদের। তা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের উপর এই ইন্টারনেট ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তাই এখনই সময় এই বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক হওয়ার।