দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। বর্তমানে মানুষ ওজন নিয়ে খুবই চিন্তিত। বিশেষ করে যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তারা নানা ওষুধ গ্রহণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। তবে ওজন কমানোর জন্য অন্য কোথাও না গিয়ে নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং নিয়মিত কিছু মসলা খেতে পারেন।
তাহলে এমনিতেই ওজন কমে যাবে। আজ আমরা সেই সমস্ত মসলা নিয়েই মূলত আলোচনা করবো যা খেলে আপনার বর্ধিত ওজন এমনিতেই কমে যাবে।
১। কাঁচা মরিচঃ
প্রথমেই ঝাল দিয়েই শুরু করলাম। কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই নেই। কারণ যারা ঝাল সহ্য করতে পারেন না তাদের জন্য কাঁচা মরিচ এক যন্ত্রণাদায়ক বস্তুর নাম। তবে এই কাঁচা মরিচেই রয়েছে অ্যামিনো, ফোলি্ সাইট্রিক, অ্যাকজেলিক অ্যাসিড সহ আরো অনেক ধরণের এসিড এবং আল্ফা-এমিরন, ক্যান্সিডিনা, ক্যারোটিন্স, ক্রিপ্টোক্যানসিন, ফ্ল্যাভনয়েডসের মত নানা ধরণের উপকারি উপাদান। এই উপাদানসমূহ আমাদের শরীরের বর্ধিত চর্বি গলিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২। দারুচিনিঃ
দারুচিনির অন্যতম গুণ হচ্ছে এটি খিদে কমাতে সাহায্য করে। যাদের দ্রুত খিদে লাগার মত সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত দারুচিনি খেয়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। দারুচিনির আরো একটি অন্যতম গুণ রয়েছে তা অবশ্যই এতক্ষণে বুঝে গেছেন। এটি খিদে কমানোর পাশাপাশি শরীরের চর্বি গলিয়ে দেয়। ফলে দ্রুত শরীরের ওজন কমে আসে। এছাড়া এটি শরীরের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, টায়ফয়েড, টিবি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুচিনির বেশ সুনাম রয়েছে।
৩। এলাচ ফলঃ
এলাচ ফলে রয়েছে টর্পিন, টপিনিনোল, সিনিওল, এসিটেট, টপিনিলের মত নানা উপকারি উপাদান। এই সব উপাদানগুলো শরীরে চর্বি জমতে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে আপনার মোটা হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে।
৪। জিরাঃ
প্রায় প্রতিটি রান্নায়ই কম বেশি জিরা ব্যবহার করা হয়। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এর তুলনা নেই। বদহজম, পেট ফাঁপা এবং খাবারে অরুচি সমস্যায় জিরা খুবই উপকারি। নিয়মিত জিরা খেলে ওজন কমে। বেশি খাবার খাওয়ার অস্বস্তি থেকেও জিরা-পানি মুক্তি দেয়। তাই রান্নায় পর্যাপ্ত জিরা ব্যবহার করুন।
৫। আদা:
আদায় রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ! পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে আদা খুবই কার্যকরী। এটি পাচনতন্ত্রে জমে থাকা খাবার পরিষ্কার করে, ফলে শরীরে ফ্যাট জমতে পারে না এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য কোন ফ্যাট টিস্যু তৈরি হতে পারে না। ফ্যাট না জমলে ওজন এমনিতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া আদার রস শরীরের জমে থাকা চর্বি দূর করতে সহায়তা করে।
৬। মৌরিঃ
মৌরি নামটি সবার পরিচিত হলেও এর ব্যবহার খুবই কম হয়ে থাকে। মৌরি আমাদের পাচনতন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য এর অনেক ভূমিকা রয়েছে। মৌরি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও খুবই কার্যকর। এটি খিদে বোধ কমাতে সাহায্য করে। ফলে ওজন স্বাভাবিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
এছাড়া আর অনেক মসলা রয়েছে যা ওজন কমানোর পাশাপাশি নানা রোগ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। তাই খাবারে পর্যাপ্ত মসলা খাওয়া উচিৎ। তবে অধিক বেশি মসলা খাওয়া আবার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলা খেতে পারেন।