দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি ইচ্ছে করলেই একটু মাথা খাটিয়ে রান্না-বান্না ও খাওয়া-দাওয়া করলেই শীতকালে ওজন বেড়ে যাওয়ার চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজে। কীভাবে?
বিশেষ করে শীতকালে মুখরোচক খাবার খেতে সকলেরই ইচ্ছে হয়! এই সময় তো পছন্দসই হরেক রকমের ফল ও সব্জি বাজারে পাওয়া যায়। তাছাড়া ছুটির দিনের পেটপুজো তো রয়েছেই। তবে এরই মধ্যে যদি শরীরে ওজন বেড়ে যায়, এই দুশ্চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ে না। অথচ একটু মাথা খাটিয়ে রান্না-বান্না ও খাওয়া-দাওয়া করলেই এই চিন্তা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজেই।
# বছরের এই সময় দিনের প্রতিটি খাবারে চর্বিহীন কিংবা কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন রাখা দরকার। কম ফ্যাটের দই, বাদামের ছোট অংশ, পিনাট-বাটার, ডিম, মটরশুটি কিংবা অল্প চর্বিযুক্ত মাংস খেলে তা আপনাকে আরও শক্তি সরবরাহ করবে এবং শীতকালে ওজন বাড়ার সম্ভাবনাও একেবারেই থাকবে না। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে ও অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে বিশেষজ্ঞরা ৩/৪ ঘণ্টা অন্তরই অল্প অল্প খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
# আবার অনেকেই সকালে নাস্তা খান না। ভাবেন ক্যালোরি কমানোর এটি দুর্দান্ত একটি উপায়। তবে এই অভ্যাস আসলে সারা দিন আপনাকে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খেতে আরও বাধ্য করবে। যে কারনে সকালের নাস্তা বাদ না দিয়ে দিনের পুষ্টিকর শুরুর জন্য ফল ও কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার এবং অল্প কিছু ফল খেলে আরও উপকার বেশি হবে। শীতে আপনি ওজন বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন ঠিক এ ভাবেই।
# আপনি মাখন ও চিনির পরিবর্তে ভ্যানিলা, বাদাম, তাজা লেবু, শীতের মরসুমী ফল ইত্যাদি বেশি করে খান। দুগ্ধ-ভিত্তিক পানীয়, ভারী ক্রিমের পরিবর্তে কম ফ্যাট কিংবা স্কিমড মিল্ক রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ওজন থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রনেই।
# বিশেষ করে ছুটির মৌসুমে অনেকেই রান্না ও বেকিংয়ে অনেক সময় ব্যয় করে থাকেন। আশ্চর্য লাগলেও এই অভ্যাসও ওজন বাড়াতে পারে, কারণ হলো রান্না করতে করতে খাবার চেখে দেখার অভ্যাস কম-বেশি আমাদের সকলেরই রয়েছে। তা করতে করতে কখন যে নিয়ম করে আপনার তৈরি ডায়েটের বাইরে চলে যাচ্ছেন নিজেও আপনি ধরতে পারবেন না। যে কারণে এই ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। খালি পেটে কিংবা খিদের মুখে রান্না করবেন না। কারণ সেই সময় নিজের রান্না চেখে দেখতে গিয়ে আপনি নিজেও পরিমাণে অনেকটাই খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন।
# আপনি যদি একটি ছোট থালায় খান, তাহলে সেটি আপনার ওজন বাড়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে না। কারণ হলো খাবারের থালা বড় হলে সেখান থেকে অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলার সম্ভাবনাও থাকে। অতএব ছোট এক প্লেট খাবার শরীর ঠিক রাখার সহজ উপায় হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।