দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে নয় ড্রোন ব্যবহৃত হচ্ছে দূর এলাকায় পত্রিকা বিতরণ, ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সহ নানা ভালো কাজে। সম্প্রতি ইংলিশ চ্যানেল এবং নর্থ সিতে জাহাজের চলাচলের ঝুঁকি কমানোর জন্য, অবৈধ মৎস্য আরোহণ বা মাদক দ্রব্য চোরাচালানিদের বোটের পিছনে ধাওয়া করার জন্য কোস্টগার্ডদের ব্যবহারের সুবিধার্থে ড্রোন ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা।
ড্রোন হচ্ছে দূ্রবর্তী পাইলট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত মানববিহীন এয়ারক্রাফট বিশেষ। যা Unmanned aerial vehicles (UAVS) নামেও পরিচিত। সাধারণ শত্রুর ঘাটিতে হামলা করতে, প্রতিপক্ষের বিমান ভূপাতিত করতে ড্রোন ব্যবহার করা হত। বর্তমানে গবেষকরা ড্রোন এর বহুমুখী ব্যবহার বিষয়ক গবেষণা করছেন।
যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা 2SEAS নামের বিশেষ এই ড্রোনটি তৈরি করেছে। ড্রোনটি একটি হাই ডেফিনেশন ক্যামেরা যুক্ত, চার মিটার দৈর্ঘ্যের ডানা ও দুটি ইঞ্জিন চালিত চালকবিহীন। উল্লেখ্য যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১১ সালের আগস্ট মাসে ১.৫ মিটার দীর্ঘ ডানার ও ইলেক্ট্রিক পাওয়ারের এসইএএস (সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় লেজার সিনটারেড এয়ারক্রাফট) নামের বিশ্বের সর্বপ্রথম একটি ড্রোনের প্রথম ফ্লাইট তৈরি করেছিলেন।
2SEAS নামের ড্রোনটি গ্যাসোলিনে চলে। ড্রোনটির স্পীড ও কার্য ক্ষমতার জন্য ড্রোনটিতে দুটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। ড্রোনের ডানাগুলি কার্বন ফাইবারে তৈরি। 2SEAS নামের ড্রোনটির দেহের প্রধান অংশ, হাউজ ফুয়েল এর অংশ, নজর রাখার সরঞ্জামাদি ত্রিমাত্রিক প্রিন্ট করা। ডানার নিচে সামনের দিকে তাক করে একটি ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়েছে যাতে মাদকদ্রব্য সনাক্ত করার জন্য বিশেষ সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে। ড্রোনটি ঘন্টায় ৫৫ মাইল গতিবেগে একটানা ৬ ঘন্টা উড়তে সক্ষম হবে যা চোরাচালানিদের স্পীডবোর্ডে’র গতির সাথে পাল্লা দিতে পারবে।
বর্তমানে গবেষকরা এটা নিয়ে কাজ করছেন এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ইউরোপের উত্তর সমুদ্রে মাদক দ্রব্য চোরাচালানিদের ধরার জন্য তৈরি করতে পারবেন। গবেষণাটি নিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ড ইংলিশ চ্যালেন এবং নর্থ সি পাহারায় একক বা যৌথ ভাবে ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল