দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তান এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চুক্তি না মেনেই অপব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ তুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নালিশ করেছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের কাছে বিস্তারিত জবাবও চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সুপারসনিক যুদ্ধ বিমান এফ-১৬ বিক্রি করা হয় পাকিস্তানের কাছে। বিক্রির সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো কিছু শর্ত। ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের আকাশ সীমায় ঢুকে হামলা করার পরও পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিতে এফ-১৬ নিয়ে ঢুকে পড়ে ভারতে।
বিষয়টি নিয়ে রবিবার ইসলামাবাদে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এফ-১৬ বিমান বিক্রির চুক্তি লঙ্ঘনের বিস্তারিত জবাবও জানতে চেয়েছে পাকিস্তানের কাছে।
এফ-১৬ হতে ছোড়া যায় এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ হাজির করেছে ভারত। তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই বিষয়ে বিচার দিয়েছে। তাছাড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিস্তারিত জানাচ্ছে। তারপরই পাকিস্তানের কাছ থেকে এই বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য চেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
পাকিস্তান বলছে যে, কাশ্মীরের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান দেশটিতে ঢুকে পড়লে এফ-১৬ বিমান দিয়ে তাদের কোনো রকম আক্রমণ করা হয়নি। ইসলামাবাদ বলছে যে, এটি মূলত একটি আত্মরক্ষার কাজ ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও অধিক তথ্য চাইছি। আমরা প্রতিরক্ষা অস্ত্র বিষয়ক অপব্যবহারের সবধরনের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারেই গ্রহণ করে থাকি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র লে. কর্নেল কন ফকনার বলেছেন, বিদেশে সামরিক অস্ত্র বিক্রয় চুক্তিতে অপ্রকাশিত নিয়মের কারণে আমরা চুক্তির বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করতে পারি না।
পেন্টাগন বলেছে যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করতে এফ-১৬ বিমান দেওয়া হয় পাকিস্তানকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কয়েকটি শর্ত মেনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিনেছিল পাকিস্তান। তারমধ্যে দুটি বিষয় হলো, কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদ নির্মূলেই এফ-১৬ বিমান ব্যবহার করা যাবে, কোনো দেশের ওপর আক্রমণে এই বিমান ব্যবহার করা যাবে না- এমন শর্ত ছিলো।