দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খরার সময় হওয়ায় প্রায় বিভিন্ন ভবনে আগুনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে কোনো সময় যে কোনো ভবনেই আগুন লেগে যেতে পারে। তাই আগে থেকেই জানা দরকার আগুন লাগলে করণীয় সম্পর্কে।
খরার দিন হওয়ায় বেড়েছে আগুন লাগার ঘটনা। অফিস, মার্কেট, বসতবাড়ি বিভিন্ন স্থানে ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা হতে শুরু করে বনানীর এফআর টাওয়ার এবং সর্বশেষ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গুলশান ১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই অনেক কিছুই শেষ করে দেয়। যা কিছু থাকে সব কিছুই পুড়ে যেমন ছাই হয়ে যায় তেমনি প্রাণহানির ঘটনাও কম হয় না। এফআর টাওয়ারের ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণ গেছে।
তবে আগুন লাগলে আমরা সাধারণভাবে খুব ভয় পেয়ে যাই। আমরা বুঝতে পারি না আগুন লাগলে আসলে কি করতে হবে না হবে। আগুন লাগলে প্রতিটি সেকেন্ডই খুব মূল্যবান সময়। যতোটা সম্ভব সময় নষ্ট না করে কিছু পদক্ষেপ নিলে হয়তো ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমবে বা রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
আসুন আজ আমরা জেনে নিই আগুন লাগলে যেসব কাজ গুলো মোটেও করা যাবে না।
# কখনও আগুন লাগলে ছাদে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে নিচের দিকে নামার চেষ্টা করতে হবে। নেহায়েত নীচে নামার কোনো অবস্থা না থাকলে তখন ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে হবে।
# ভুলেও ওপর থেকে কখনও নিচে লাফ দেবেন না। তাতে বিপদ আরও বাড়তে পারে। যেমন এফআর টাওয়ারের অন্তত ৩ জন লাফিয়ে পড়ার কারণে মৃত্যু ঘটেছে। দুই জনার তাৎক্ষণিক এবং এক জনের পরে হাসপাতালে মৃত্যু ঘটে।
# পোশাকে আগুন লাগলে দুই হাতে মুখ ঢেকে মাটিতে গড়াগড়ি দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই দৌঁড়ানো যাবে না। কাঁথা বা মোটা কোনো কাপড় দিয়ে জড়িয়ে আগুন নেভাতে হবে।
# শরীরে আগুন লাগলেও দৌঁড়ানো যাবে না। এতে আগুন আরও বেড়ে যাবে।
# শরীরে আগুন লাগলে ভেজা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে ধরতে হবে।
# পোড়া জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ঢালুন। রোগীকে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
# প্রতিটি বাড়িতে, গাড়িতে, অফিসে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স সংরক্ষণ করা জরুরি একটি বিষয়।
# ভবনে ও গাড়িতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখতে হবে। বছরে অন্তত দু’বার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন চেক করিয়ে নিতে হবে। কারণ বড় বড় ভবনে আগুন ধরার মূল কারণ ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট।
# ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে।
# জরুরি অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে আগে ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিন।
# গাড়িতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর (০২-৯৫৫৫৫৫৫ অথবা ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯) দৃশ্যমান স্থানে বড় অক্ষরে লিখে রাখুন। তাছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করতে পারেন।