দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাত্রা শুরু করলো ইউরোপের প্রথম ও বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্ডারওয়াটার রেস্টুরেন্ট ‘আন্ডার’। নরওয়ের দক্ষিণাঞ্চলে সাগরের ৫ মিটার গভীরে আগতরা সাগরতলের জীবন দেখতে দেখতে খাবার উপভোগ করতে পারবেন!
নরওয়েজিয়ান ভাষায় আন্ডার (তলে) মানে ওয়ান্ডার (যেনো এক বিস্ময়) ৷ এটা ইউরোপের প্রথম পানির নিচের রেস্টুরেন্ট বা রেস্তোরাঁ। তাছাড়া ১০০ অতিথির বসার স্থান সমৃদ্ধ এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেস্তোরাঁ। ৫ মিটার গভীর রেস্তোরাঁটির দৈর্ঘ্য হলো ৩৪ মিটার।
দেখতে যেনো সাগরের শিলা
রেস্তোরাঁটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেনো মনে হবে সাগর থেকে বেরিয়ে আসা এক শিলা মনে হয় এবং সাগরের নিচের পরিবেশের সঙ্গে মিলে যায়। এর অসমতল বাহ্যিক আবরণ কিংবা খোলসটি কৃত্রিম প্রবালপ্রাচীর হিসেবেও কাজ করবে।
সবাইকে নিমন্ত্রণ করবে
গাউটে উবোস্টাড হলেন এই রেস্তোরাঁর একজন প্রতিষ্ঠাতা। রেস্তোরাঁটি তৈরি হবার পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় যান এই নরওয়েজিয়ান ব্যবসায়ী৷ সেখানে তিনি বলেন যে, ‘আমরা সারাবিশ্বের পর্যটকদের আকর্ষণ করতে চাই। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
কোন স্থপতির নকশা
অসলো ভিত্তিক প্রখ্যাত ভবন নকশা প্রতিষ্ঠান স্ন্যোহেটা এই রেস্তোরাঁটির নকশা করেছে। তারা ইতিপূর্বে নিউইয়র্কের সেপ্টেম্বর ১১ মেমোরিয়াল মিউজিয়াম, অসলোর অপেরা হাউসের মতো বড় বড় সব কাজ করেছেন।
বিশাল এক জানালা
রেস্তোরাঁটিতে একটি বিশাল জানালা রয়েছে। খেতে খেতে সেই জানালা দিয়ে সাগরের জীববৈচিত্র্যও দেখা যায়। স্থপতি থরসেন বলেন, ‘এই জানালার কারণে একেবারে বাস্তব অভিজ্ঞতা হবে কাস্টমারদের, এটি কখনও অ্যাকুরিয়ামের মতো মনে হবে না।’’
কতো খরচ হবে?
উবোস্টাড আশা করেন বছরে ১২ হাজার মানুষ এই রেস্তোরাঁতে খাবার খাবেন। একটি মিলের দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৪৩০ ডলার বা ৩৭৬ ইউরো (প্রায় ৩৬ হাজার টাকার মতো) ৷ খরচটা যদিও একটু বেশিই! তবুও এমন পরিবেশে খাওয়া বলে কথা!