দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যাণ্ডের ঘটনার পর ফেসবুক এবার নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না লাইভ সেবাটি। সে কারণে ফেসবুক লাইভ প্রচারে আসছে কড়াকড়ি।
নিউজিল্যাণ্ডের ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। একইসঙ্গে চাপের মুখেও পড়েছে ফেসবুক। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক লাইভে কড়াকড়ি আরোপের ওপর।
মার্কিন বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে, লাইভ নীতিতে এবার পরিবর্তন আনবে ফেসবুক। এক্ষেত্রে কারা লাইভ করতে পারবে না পারবে তারও একটি নির্দেশনা আসতে পারে। এমনকি ভবিষ্যতে লাইভ করার আগে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের অনুমতিও লাগতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এমন নানা কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জঙ্গি হামলা ফেসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে লাইভে প্রচার করে এক সন্ত্রাসী। তারপরই ফেসবুকের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয় পুরো আন্তর্জাতিক মহল। এই সময় ফেসবুকের সমালোচনা করে বলা হয়, এরকম একটি ঘটনা ফেসবুকে কিভাবে লাইভের অনুমোদন পেলো? সত্যিই এটি বিস্ময়ের ব্যাপার!
ফেসবুকের এমন সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেছেন, জঙ্গি হামলার পর ওই ঘটনার প্রায় ১৫ লাখ ভিডিও অপসারণ করা হয়। অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরবর্তীতে এই ধরনের ভিডিও প্রতিরোধে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করবো বলে ভাবছি।
তিনি আরও জানান, ফেসবুকের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন এর গ্রাহকরা। আমরাও তাই মনে করি। নিউজিল্যান্ড হামলার পর আমরা ৩টি পদক্ষেপ নিচ্ছি। এগুলো হলো, লাইভ নীতি আরও কঠোর করা, হেট স্পিচ বা ঘৃণামূলক বক্তব্য চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং নিউজিল্যান্ড কমিউনিটিকে সমর্থন দেওয়া।