দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞানীরা এই প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি ধারণ এবং প্রকাশ করেছেন। এই ঘটনাটিকে বিজ্ঞানের একটি বড় অর্জন বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা- ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন (এনএসএফ) এক প্রেস কনফারেন্সে ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মেসিয়ার বা এম-৮৭ নামের এক ছায়াপথের কেন্দ্র হতে বৃহদাকার এই ব্ল্যাক হোল ও তার ছায়ার ছবি ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আমরা তাই দেখতে পেরেছি যাকে দেখা সম্ভব নয় বলে আমরা এতোদিন ভেবেছিলাম। আর এটিই হলো ব্ল্যাক হোলের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
ছবিতে দেখা গেছে যে, হলুদ রঙের ধুলো ও গ্যাসের একটি চক্র প্রকাণ্ড ব্ল্যাক হোলটিকে ঘিরে রেখেছে। এম-৮৭ ছায়াপথের মাঝখানে, পৃথিবী হতে ৫ কোটি ৫০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে এটির অবস্থান। ব্ল্যাক হোলটি ৪ হাজার কোটি কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ও পৃথিবী হতে ৩০ লাখ গুণ বড়।
ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবিটি তুলেছে ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ কোলাবোরেশন যাকে সর্টে বলা হয় ইএইচটি। দুই শতাধিক বিজ্ঞানী এই প্রকল্পে কাজ করছেন। এই ছবি তোলার জন্য তারা এক দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছেন।
২০১৭ সালে এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলার জন্য বিজ্ঞানীরা একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। অবশেষে সফলতার মুখ দেখলেন বিজ্ঞানীরা।
নাসার ধারণা মতে, ব্ল্যাক হোল হলো অসংখ্য বস্তুর সঙ্কুচিত ছোট্ট এলাকা যা ব্যাপক মাহকর্ষীয় ক্ষেত্র তৈরি করে ও আলোসহ তার চারপাশে থাকা সবকিছিুকেই নিজের অভ্যন্তরে টেনে নেয়। এছাড়াও ব্ল্যাক হোলের বস্তু গলানোর নিজস্ব পন্থাও রয়েছে যা মুহূর্তের মধ্যে চারপাশের সবকিছুকেই গলিয়ে ফেলতে সক্ষম!