দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও দেশ ছেড়ে পালিয়েছে সৌদি আরবের দুই তরুণী। পালিয়ে যাওয়া ওই তরুণীদ্বয় সম্পর্কে পরস্পর দুই বোন। এই দুই সৌদি তরুণী বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন!
বর্তমানে তারা আশ্রয় নিয়েছেন ইউরোপের দেশ জর্জিয়াতে। সেখান থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘টুইটারে’ অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছেন তরুণীদ্বয়।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল-ইস্ট মনিটর ও বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পালিয়ে যাওয়া ওই দুই তরুণীর একজনের নাম মাহা আলসুবাই (২৮) ও অপরজনের নাম ওয়াফা আলসুবাই (২৫)।
জর্জিয়ায় পৌঁছানোর পর ওই দুই তরুণী ‘জর্জিয়াসিস্টারস’ নামে টুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেখানে ২৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে ওই দুই তরুণীর একজন তরুণী জানান, তাদের বাবা ও ভাইয়েরা তাদের খুঁজতে জর্জিয়ায় পৌঁছেছেন। তারা তাদের পরিবারে চরমভাবে নির্যাতিত ও অবহেলিত।
ভিডিও বার্তায় ওই তরুণী আরও জানিয়েছে, সৌদি আরবে নারীদের জন্য আইন খু্ব দুর্বল। তাদেরকে রক্ষার জন্য সৌদি আরবের আইনকানুন যথেষ্ট নয়।
তারা দুই বোন জর্জিয়ায় শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কাছে সহায়তা ও নিরাপদ কোনো দেশে বসবাসের সাহায্যও চেয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় তারা আরও জানান , আমরা বিপদে। আমাদের বাঁচান। আমরা সহযোগিতা চাই।
ইতিপূর্বে ওই দুই তরুণী টুইটারে নিজেদের পাসপোর্টের ছবি আপলোড করেন। তাদের পাশাপাশি বসা একটি ছবিও টুইটারে আপলোড করেন। সেখানে নিজেদের চেহারা দেখে সাধারণ মানুষ কিছু উপলব্ধি করতে পারছে কিনা সেটিও জানানোর চেষ্টা করেন। নিজেদের ছবি দিয়ে তারা সৌদি নারীদের অবস্থার কথা বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন। সেইসঙ্গে এই ছবি বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছালে সৌদি নারীদের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও তারা জানান।
জর্জিয়ার শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলেছে, তারা বিষয়টির ওপরে নজর রাখছেন। জর্জিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে সাহায্য চাননি ওই দুই তরুণী।
উল্লেখ্য, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটিতে নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলে আসলেও, সম্প্রতি একাধিক নারী দেশটি ছেড়ে পালিয়েছেন।পালিয়ে যাওয়া ওই তরুণীদের দাবি হলো, পরিবারের হাতেই চূড়ান্ত অত্যাচারিত হতে হচ্ছে তাদেরকে।