দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিন বিশ্বে কতনা ঘটনায় ঘটছে। গ্রিনেজ বুক অব রেকর্ডে যে সব ঘটনা ওঠে আমরা শুধু সেগুলো দেখেই সন্তুষ্ঠ থাকি। কিন্তু এর বাইরেও আরও কত মজার মজার ঘটনা রয়েছে যেগুলো আমাদের কিছু সময়ের জন্য হলেও আনন্দ দেয়। এমনই কিছু মজার মজার ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ
টাইটানিক নিয়ে কত কাহিনী আমরা দেখেছি। সত্য ঘটনাটি নিয়ে সিনেমা করে বিশ্বের মানুষদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই টাইটানিকের চেয়েও অনেক বড় জাহাজ তৈরি হয়েছে যার নাম অষষঁৎব ড়ভ ঞযব ঝবধং- বর্তমানে এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ। এই জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১১৮১ ফুট (৩৬০ মিটার) এবং উচ্চতা ২৩৬ ফুট (৭২ মিটার)।
জাহাজটিতে যাত্রীদের জন্য ১৬টি ডেক রয়েছে। সব ডেক মিলে জাহাজটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৬৩০০ জন। জাহাজটিতে হলরুম, থিয়েটার, স্কেটিং, কফিশপ, পার্ক, সুইমিংপুলসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। জাহাজটির গতি ঘণ্টায় ৪১.৯ কিলোমিটার। জাহাজটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ কাগজের বিমান
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, কাগজের বিমান নিয়ে খেলা করার শখ অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে কেও কেও আবার কাগুজে বিমান নিয়ে স্বপ্নচারীর মতো আকাশেও উড়তে চায়। খেয়ালি মনের মধ্যে কখন গোপনে এ স্বপ্ন ঘুরপাক খায় তা হয়তো কেউ ঠিক করে বলতেও পারে না। তবে কাগজের সুবৃহৎ বিমান আকাশে ওড়ানোর স্বপ্ন পূরণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা প্রদেশের টাকসান শহরের একদল তরুণ। স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে তারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কাগুজে বিমানটিই নির্মাণ করেছেন। এর ওজন আটশ’ পাউন্ড। দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট। প্রতিটি শাখার দৈর্ঘ্য ২৪ ফুট। ওড়ানোর পর এ বিমানটি আকাশে মাত্র ৬ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। তবে গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৮ কিলোমিটার। বিমানটির নামকরণ করা হয়েছে এর স্বপ্নদ্রষ্টা ১২ বছর বয়সী তরুণ আর্টুরোর নামানুসারে ‘আর্টুরো ডেজার্ট ঈগল’।
গাজর কন্যা
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, গাজর মানুষের প্রিয় খাবার হিসেবে খাবার টেবিলেই হাজির করা হয় নানা বৈচিত্রে। কিন্তু খাবারই শুধু নয়, বরং বাহারি সাজের উপাদান হিসেবেই যেন এর কদরটা একটু বেশিই। সম্প্রতি এমন এক অদ্ভুত গাজর-সাজ নিয়ে টিভি শোতে এসে তাক লাগিয়ে দিলেন গাজর কন্যাখ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ৩১ বছরের নারী জিজি হাওয়েন। অদ্ভুত অদ্ভুত কাণ্ড নিয়ে নির্মিত প্রতিযোগিতামূলক টিভি অনুষ্ঠান মাই ক্রেজি অবসেশনে অংশ নিয়ে তার এই গাজর কেরামতি প্রদর্শন করেন তিনি। সঙ্গীত ও নাচের সাহায্যে তিনি তার চমৎকার গাজর-নৈপুণ্য দেখান। প্রায় এক হাজার গাজর দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে অংকিত গাজর ট্যাটুর পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন। কানে, গলায়, মাথায়, কোমরে- সর্বত্রই তিনি গাজর ট্যাটুর বৈচিত্র্যতা ফুটিয়ে তোলেন।
৭ কোটি ডলারের আংটি!
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, বিশ্বে এই প্রথম ৭ কোটি ডলার মূল্যের হীরার আংটি তৈরি করল সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক একটি স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ১৫০ ক্যারোটের হীরা দিয়ে এ আংটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় এক বছর। ২০১১ সালের এপ্রিলে আংটিটির মূল নকশা করা হয়। শাউইশ জুয়েলারি নামের কোম্পানি এ আংটি তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিয়ের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করেই এটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সিইও এ সম্পর্কে বলেন, আংটিটি তৈরির ফলে আমাদের গ্রাহকরা আস্থা রাখতে পারবে যে আমরা অসম্ভব সুন্দর কিছু করতে পারি। তিনি বলেন, মানুষের পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু নেই সেটিও প্রমাণিত হলো।
এবার কফির চিত্রকর্ম!
আমরা অবসরে বা ক্লান্তিতে এক কাপ কফি পান করি, পুরো মেজাজটাই যেন ফুরফুরে করে দেয়। কিন্তু চিত্রকর্ম আকার উপাদান হিসেবে কফির ব্যবহার একদম নতুন স্বাদের আমেজ তৈরি করে। যা কোন দিন কেও ভাবেনি। এমন একটি অভূতপূর্ব চিত্রকর্ম এঁকেছেন মালয়েশিয়ার এক তরুণ শিল্পী। মগের গায়ে কফি দিয়ে এঁকেছেন তার প্রিয় তাইওয়ানি গীতিকার জে চৌর প্রতিচ্ছবি। ২৫ বছর বয়সী হং য়ি নামের এই চিত্রশিল্পী চৌয়ের গানের দারুণ ভক্ত। তাই ভক্তি প্রকাশের জন্য তিনি তার একটি গানের প্রথম শব্দ- এসইসিআরইট-এ চৌয়ের ছবি কফি থেকে চিত্রকর্মে রূপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এতে সফলও হয়েছেন হং। আর এ ভাবেই কফি দিয়ে চিত্রকর্ম আঁকার প্রথম গৌরব মুকুট পরলেন তিনি।
-ওয়েব নিউজ অবলম্বনে